সম্প্রতি বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিয়ে করে বাসরঘরে নববধূ রেখে বিএনপি নেতার পলায়নের একটি ঘটনা ঘটে । বাসর রাতে বাড়িতে পুলিশ হানা দিলে নববধূ নারগিসকে রেখেই পালিয়ে যান বিএনপি কর্মী ইরান। বিয়ের দিন দায়ের করা মামলায় আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক ওয়াসিম ইফতেখারুল হক। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
ফ্যাসিবাদের স্থায়ী শত্রু তৈরির এপিক উদাহরণ হতে পারে এই ননপলিটিকাল দম্পতি।
নার্গিস খানমের সাথে ইরানের বিবাহ হয় বছরের প্রথম দিনে। তারা হয়তো অনেক স্বপ্ন চোখে নিয়ে এ দিনটি বেছে নিয়েছিলো।
বোকা ছেলে বা মেয়েটা বুঝতেও পারেনি গান্ডু শোষিত এই দেশে ওরা কি ভয়াবহ অপরাধটা করতে যাচ্ছে।
বরের দুলাভাই বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোল্লা ছিলো বরযাত্রী। তো মেয়ের এলাকায় যাবার পর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ইমদাদুলের সঙ্গে কথা বলছিল বরের দুলাভাই। কথা বলার মত ভয়াবহ(!) অপরাধের ঘটনা দেখে ফেলে যুবলীগের এক মহান নেতা। কথা বলার অপরাধে ইমদাদুলকে মারধোর করে মহান যুবলীগ।
কিন্তু যুবলীগ তো মহান জয়বাংলা। তারা কেন শুধু মেরেই ক্ষান্ত দেবে? একটা মর্দানার ব্যাপার আছেনা!
তাই ঘটনার পরপর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য সম্পাদক মোখলেস বাদী হয়ে বর ইরান, ইরানের ভাই মিরান এবং বিএনপির ৮ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। ফলে করিতকর্মা পুলিশলীগ ঐ সন্ধাতে গ্রেফতার অভিযান শুরু করে ৩ জনকে এ্যরেষ্ট করে। আসামী ইরান নববধুর মেহেদীর রঙ দেখার আগেই বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।
দম্পতির ভবিষ্যৎ সন্তানের ডিএনএ ডিজাইনে প্রতিশোধ নেবার আকাঙ্খা জন্ম নিলে তারেও কি মামলার আসামী বানিয়ে পার পাবেন! বিভাজনের যে ক্ষত তৈরি করেছেন সমাজে; সেই বিভাজন কাল আপনার আদুরে পুত্র কন্যা স্ত্রীরে রক্ষা করবে; তার নিশ্চয়তা পেয়েছেন কি?
আসু ন্যায়বিচারের বাংলাদেশে ‘ওপরের নির্দেশ’ ওজুহাত দিয়ে ফাঁকি দিতে পারবেন না। ওপরে নিচে প্রত্যেক সম্ভাব্য অপরাধীকেই ন্যায় বিচারের আওতাধীন হতে হবে।
আগামীর রাজনৈতিক দলগুলো (আমার ভালবাসার দল বা যে-ই হোক) সেই দাবী মিটাতে ব্যার্থ হলে আমরা কিন্তু তখন গোস্ত রুটির আশায় সাইলেন্সার বনে যাবো না। সাইলেন্সার হবার জন্য আমাদের জন্য আমাদের সংগ্রাম নয়। Born To Burn..