Thursday, March 23, 2023
বাড়িConutrywideবধূ সেজে বিয়ের আসরে অপেক্ষা, আসেনি সেনা সদস্য বর, এলাকায় চাঞ্চল্য

বধূ সেজে বিয়ের আসরে অপেক্ষা, আসেনি সেনা সদস্য বর, এলাকায় চাঞ্চল্য

Ads

এবার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামে একটি বিয়ে কেন্দ্র করে ঘটেছে অনাকাঙ্খিত ঘটনা যা নিয়ে ওই এলাকায় রীতিমত চাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জানা গেছে ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কনে। কিন্তু সারাদিন অপেক্ষা করেও বর না আসায় বিয়ে হয়নি।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ফুলবাড়ী গ্রামের ইউপি সদস্য তোফায়েল আহমেদ লিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। বর আর কনের বাবা খুব ভেঙে পড়েছেন।

অভিযুক্ত চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুরুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী ওমর ফারুকের ছেলে। হুসাইন। বর্তমানে তিনি বরিশাল লেমুখালী সেনানিবাসে সেনাসদস্য হিসেবে কর্মরত আছেন।

কনের মামা সাজ্জাদ হোসেন জানান, দুই পরিবারের কথা ভেবে বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়। হুসেন ও তার পরিবার গত রবিবার বিয়ের দিন ঠিক করে। ৭৫ হাজার টাকা ধার্য করা হয়। এর দুদিন আগে ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যরা মেয়ের নাকে আংটি পরাতে আসেন। রবিবার, বর ২০ থেকে ২৫ বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। কনের পরিবার সব আয়োজন নিয়ে অপেক্ষা করছিল। পরে বিকেলে আমরা জানতে পারি বর আসবে না।

সাজ্জাত আরও বলেন, বিয়েতে যদি কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে ছেলে নিজে থেকে আমার ভাগ্নিকে দুইবার দেখতে এলো কেন? এ ছাড়া ছেলে তার নিজ কর্মস্থলে মেয়ের পরিবার ও তার বাবার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বিয়ের অভিযোগ করেছে বলে শুনেছি। এরপর আমরা জানতে পারি ছেলেটির বাবা সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে এসেছেন। পরে হোসেন তার বাবার সাথে বিভিন্ন গ্রামে মেয়েদের দেখা শুরু করেন। এক মাসে তারা ১৫ থেকে ১৮ জায়গায় মেয়েদের দেখে। কিন্তু সে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। আমার ভাতিজি তার জীবন নিয়ে খেলেছে। এ বিষয়ে আমরা লড়াইও করব।

তিনি আরও বলেন, যাবতীয় প্রমাণ নিয়ে তার কর্মস্থলে যাবেন। মেয়েটির বাবা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তিনি তার শেষ সম্বল দুটি গরু বিক্রি করে ছেলের দাবি করা স্বর্ণালংকার এবং মেয়ের সুখের জন্য স্বামীর জন্য একটি পালসার মোটরসাইকেল দিতে রাজি হন। এ অবস্থায় কনে ও তার বাবা খুবই ভেঙে পড়েছেন। দুই থেকে তিন লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।

এদিকে সেনা সদস্য বড় এর বিয়েতে না আসার ঘটনাটি নিয়ে যখন আলোচনা সমালোচক শুরু হয় তখন ফুলবাড়ী গ্রামের ইউপি সদস্য তোফায়েল আহমেদ লিটন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এটা মোটেও ঠিক নয়। কাজের জায়গা থেকে ছেলের বিয়ের অনুমতি নেই বলে জেনেছি। তারপরও সংসার সামলে নিজেই বিয়ের দিন ঠিক করেন। এখন এটি চলে গেছে, জিনিসগুলি মোটেও ঠিক নয়। এমন পরিস্থিতিতে একটি মেয়ে ও তার পরিবার কতটা কষ্ট পায় তা আমরা বুঝি। কেন এমন হল তা জানতে ছেলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলব।

 

Looks like you have blocked notifications!
Ads
[json_importer]
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments