বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে কমিটি নিয়ে ইতিপূর্বে নানা আলোচনা হয়েছে এবং সেই সাথে পদ পদবি পাওয়ার জন্য অনেকের নানা কর্মকান্ড নিয়েও নানা কথা উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক মোহাম্মদ ওয়াহিদুন্নবী স্বপন। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
আমার বি এন পি –
আবার শুরু হইছে কমিটি বিনোদন ১৫ বছর ধরে এই এক জিনিস আর শেষ হয় না -২০২২এর ডিসেম্বরের আন্দোলনে কম্পলিট সাবোটেজের পরে ধান্দাল কর্মীদের শুরু হয়ে গেছে দৌড় ঝাঁপ –
আলহামদুলিল্লাহর বন্যায় সয়লাব পুরা সোশ্যাল মিডিয়া – এই পর্যন্ত যে কয়টা নামই চোখে পড়ছে মোটামুটি বাটপারের শীর্ষ তেই আছে সব গুলা।
তবে দুই একজন পিউর কোন সন্দেহ নাই আই মিন- দে ডিজার্ভ।
আওয়ামীলীগ বা আম্মোর ডলা খায় নাই জেলেও যায় নাই কিম্বা ডলা খাইছে বাই চান্স ব্যাস বিশাল পদ প্রাপ্ত।
দাপিয়ে বেড়াচ্ছে – কঠিন স্লোগানও দিচ্ছে রাজপথে।
টাকা টুকি খরচ করে কিম্বা তেল মেরে বি এন পিতে পদ পদবী পাওয়া যায় তার অনেক প্রমান আছে।
তাহলে কাডাল আম্মোর বিরুদ্ধে এত নীতি বাক্য বইলা কি লাভ – আগে তো নিজেরা ঠিক হইবেন।
আমি সিউর, মেডাম জেলের বাহিরে থাকলে এইসব হইতো না কিম্বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবের যদি সত্যিকার একটা প্রফেশনাল পলিটিক্যাল অফিস কিম্বা প্রটোকল থাকতো- কাডাল আম্মোর আর যাই হোউক, আছে অনেক বুদ্ধিমান লোক আশে পাশে যাদের কারনেই টিকে যাচ্ছে একটার পর একটা ফাঁড়া।
যদি এইরকম প্রটোকল থাকতো তিনি অবশ্যই মাঠের চিত্র খুব ভাল করে বুঝতেন কারন নেতা যখন সরাসরি ফিক্সড কাহাকেও বিশ্বাস করেন তখন পলিটিক্স টা নেরো কিম্বা ফিক্সড ফোকাস হয়ে যায় পেরিফেরিয়াল ভিউ কমে যায়। তার প্রমান গত ১৫ বছরের অনেক ব্যার্থতা।
সাক্সেস রেট অলমোষ্ট জিরো।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবের একার পক্ষে এইসব মনিটর সম্ভব না। যদিও বলতে পারেন মেডামের প্রটোকল টাই তো তিনি দূরে বসে ইউজ করছেন – আমি বলবো সেখানেও ভুল আছে।
আমার নিজ চোখে দেখা কিছু এভইডেন্স ও আছে যা হয়তো প্রকাশ পেলে দলের ক্ষতিই হবে।
বি এন পি যদি ২০২৩ এর ডিসেম্বরের নির্বাচন কে কেন্দ্র করে আন্দোলন করে তাহলে আগেই বলে দিচ্ছি – ২০২৪ সাল থেকে আমি আর এই দলের সাথে থাকবো না। যদিও ২০১৮ এর আগে একই ঘোষনা দিয়েছিলাম শুধু দেশ নেত্রীর দিকে চেয়ে চালিয়ে গিয়েছি।
যদি বাই চান্স ক্ষমতায়ও আসে তবুও থাকবো না – হয়তো ০৬ মাস টিকবে কি না সন্দেহ। কারন গুলো জানি বলবো না আপাততঃ।
নিজেকে এখন থেকেই আপনাদের সামনে তুলে ধরছি – পরে বইলেন না আমি কেন বদলাইলাম।
আমার মতন কয়টা ফেরারী আছে কিম্বা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত সহ প্লট পেনশন বাতিল হইছে কিম্বা একটা বিশাল ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হইছে একটা খুঁজে বের করে দেখান – শারীরিক ক্ষতির কথা বাদই দিলাম।
আমি কেন হুদাই এত সেক্রিফাইস করছি নিজেও জানি না।
০৪ বছর লন্ডনে – দল থেকে তো কোন সহযোগিতা পাই নাই কিম্বা একজন নেতাও ফোন করে খোঁজ খবর নেয় নাই। বৌ বাচ্চার সামনে মুখ দেখানোর উপায় নাই বললেই চলে। বরং আমি উল্টো ফোন কিম্বা মেসেজ করে ওনাদের আমার অবস্থান জানাইতাম।
বৃটিশ নাগরিকদের সকল সুজোগ সুবিধা পাইলাম মাস খানেক আগে কিন্তু একটা কাগজের জন্য দলের কাছে ধরা দিতে হয় নাই কিম্বা ফলস ডকুমেন্টস বানাতে হয় নাই।
আবার দেখা যায় পলিটিক্যাল এসাইলাম দের এই দেশে রমরমা বিজিনেস ( বিস্তারিত আর বললাম না)।
হেরাই বনে বড় নেতা পায় পদ(সার্কাস)।
বৃটিশ সরকার পর্যন্ত আমারে জানায়ে দিছে যে আমার দেশে যাওয়া অনিরাপদ কিম্বা লাইফ থ্রেটনিং – হেরা বোঝে কিন্তু দল বুঝলো না।
বৃটিশ পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিবাদ টক শো একদিনের জন্য থেমে থাকি নাই – দেশে কেহ আহত কিম্বা সমস্যায় পড়লে সাথে সাথে কিছু করার চেষ্টা করেছি।
আমি অনেক আগেই বলেছি – আমি কখনই পদ চাই নাই কারন দেশনেত্রীর প্রটোকলটাই আমার সব পদের উর্ধে- তারপরও যখন দেখি কোথায় কেহ দেখার নাই তখন মনের গভীর থেকেই নিজের উপর ধিক্কার হয়।
আরও অনেক কিছু বলার ছিলো – ধীরে ধীরে এগুচ্ছি –
বলার সময় আসবে – ক্ষমতায় যাওয়ার আগে অবশ্যই পরিশোধিত হইতে হইবে – এখন ভাবছি অবশ্যই শ্রম আর ত্যাগের মুল্য আদায় করে ছাড়বো – If you Don’t behave generously – Nothing Is free in this world – Mind it.