সম্প্রতি বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা বেশ নাজুক হয়ে পড়ে আর এই কারনে দেশের জ্বালানি তেল এর দাম থেকে শুরু করে বাড়িয়ে দেয়া হয় অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।সেই পরিস্থিতি থেকে এখনো রেহাই পায়নি বাংলাদেশ। আর এরই মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান আর্থিক অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
তারা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার আর্থিক স্বচ্ছতার আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। যাইহোক, এটি এখনও ন্যূনতম মানগুলিতে পৌঁছাতে কম পড়ে। মার্কিন ব্যুরো অফ ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস অ্যাফেয়ার্সের ‘ফিসকাল ট্রান্সপারেন্সি ২০০২ ‘ রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশের পরিস্থিতি নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭২টি দেশ আর্থিক স্বচ্ছতার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেছে। এবং ৬৯ টি দেশ আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেনি। যাইহোক, এই ৬৯ টি দেশের মধ্যে ২৭ টি দেশ আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে প্রকাশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। প্রস্তাবিত নির্বাহী বাজেটও অনলাইন সহ জনসাধারণের কাছে ব্যাপকভাবে অ্যাক্সেসযোগ্য হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগে আর্থিক বরাদ্দ এবং রাজস্বও বাজেট নথিতে প্রকাশ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজস্ব খাতের স্বচ্ছতা বাড়াতে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এটাই:
১. আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি অনুযায়ী বাজেট নথি প্রস্তুত করা;
২. নিশ্চিত করা যে SAIs স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক মান পূরণ করে এবং পর্যাপ্ত সম্পদ রয়েছে;
৩. অডিট রিপোর্টের সময়মত প্রকাশনা, যার মধ্যে মূল ফলাফল, সুপারিশ এবং বর্ণনা রয়েছে;
৪. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ পুরস্কার সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য সর্বজনীনভাবে এবং ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে যাতে আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা আনয়ন করা হয়, কর এবং রাজস্ব কীভাবে ব্যয় করা হয় এবং কার্যকর সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা। আর সেই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের অবস্থান জানিয়ে দিল দেশটি।