মার্কিন যুক্তরাষ্টের বার্তায় এক সময় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হয়েছিল কাতারের আমির শেইখ হামাদ বিন খলিফা আল থানিকে মূলত এই ঘটনা সারা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এবং মার্কিনিদের প্রভাবের জেরে তার এই ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক শামসুল আলম। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
জুন ২৫ ২০১৩, মঙ্গলবার।
পারস্য উপসাগরীয় প্রভাবশালী ছোট্ট দেশ কাতারে ঘটে এক সাংঘাতিক ঘটনা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার এক বিশেষ দূত নামেন দেশটির রাজধানী দোহায়। ওই মার্কিন দূত ছিলেন একজন আধা-সামরিক ব্যক্তিত্ব ও গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র একজন সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
তিনি কাতারের আমির শেখ হামাদের সাথে দেখা করে একটি মেসেজ পৌছে দেন, আর তা হলো: “আপনার জন্য মাত্র একটি পথ খোলা: হয় আপনার কোনো এক সন্তানের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিন, নতুবা বিশ্বজুড়ে আপনার সব সম্পদ আমরা জব্দ করব।” আমীর এ বিষয়ে কিছু বলতে চাইলে ওই বিশেষ দূত তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন: “এ ব্যাপারে দরকষাকষির বা মধ্যস্থতার কোনো কর্তৃত্ব আমাকে দেয়া হয়নি, আমি এসেছি কেবলই আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে।”
এরপরে বিকালের মধ্যেই দেশটির আমির শেখ হামাদ পদত্যাগ করে তার ৩৩ বছর বয়সী পুত্র শেখ তামিমকে নতুন আমীর ঘোষণা করেন। তামিম ছিলেন বৃটেনে লেখাপড়া করা এবং রাজ পরিবারের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল।
এভাবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি মাত্র বাক্য বা কথা শুনেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে কাতারের আমির শেইখ হামাদ বিন খলিফা আল থানিকে। লেবাননের দৈনিক আসসাফির এইসব তথ্য ফাঁস করেছিল তখন। পত্রিকাটি জানিয়েছিল, হামাদ ও তার প্রধানমন্ত্রী অনেক ক্ষেত্রেই মার্কিন সরকারের বেঁধে দেয়া কিছু সীমারেখা লঙ্ঘন করেছিলেন। যার ফলে ক্ষমতায় এই তড়িৎ পরিবর্তন।