গতকাল দেখা গিয়েছে পুলিশকে বোকা বানিয়ে আদালত থেকে দুই আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে এবং সেই সাথে দেখা গেছে এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে এবং পরবর্তীতে সরাষ্টমন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছেন
এই আসামি ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরুস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আব্দুল হয় সঞ্জু। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে ঢাকার আদালত থেকে লেখক অভিজিৎ রায় ও জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন এর মামলায় দুই আসামী পালিয়ে গেছে।
—-
সময়ের সাথে সাথে বাগধারায়ও পরিবর্তন আনতে হয়।
পুরনো বাগধারাঃ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে…
নতুন বাগধারাঃ পুলিশের চোখে স্প্রে দিয়ে… 😂
—-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বলবেন, এসব পুলিশকে তো আমেরিকাই প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
—-
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দুই জ_ঙ্গি_কে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ পুরস্কার দেওয়া হবে।
এই টাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের পকেট থেকে দেবেন। অথবা পুলিশকে যে ব্যাঙ্ক উপহার দেয়া হয়েছে, সেখান থেকে পরিশোধ করতে হবে। দেশের মানুষ দুই বেলা খেতে পায়না। পুলিশের ব্যর্থতার দায় জনগণ কেন নেবে?
—-
বিশ্লেষকেরা বলবেন, দেশীয় জ_ঙ্গি_দে_র সাথে কোকী চিন জঙ্গিদের বন্ধুত্ব হওয়া সম্ভব হলে তো পুলিশের সাথেও বন্ধুত্ব হওয়া সম্ভব। পুলিশের সাথে ‘চোখে স্প্রে মারার অভিনয়ের’ চুক্তির বিনিময়ে এই পলায়ন সম্ভব হয়েছে।
তবে একাত্তর টিভি’র আলোচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের ব্যর্থতার চেয়ে আলোচনায় বেশী গুরুত্ব পাবে জ_ঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গ এবং এই তৎপরতার সাথে যোগসূত্র সৃষ্টি করা হবে বর্তমান রাজনৈতিক উত্তাপ এবং জ_ঙ্গি_দে_র ঘোলা পানিতে মাছ ধরার অপচেষ্টা।
—–
এদিকে জ_ঙ্গি ইস্যুটিকে আবারও ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বিশ্ববাজারে বিক্রয়যোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছেন শেখ হাসিনা। এই চেষ্টার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপাততঃ বাংলাদেশ সফর বাতিল করে দিয়েছেন।