সম্প্রতি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেগেছে উদ্বেগজনক একটি ঘটনা যেখানে দেখা গিয়েছে ৪ শিক্ষার্থীকে রাগিং এর নাম করে তাদের সাথে অনাকাঙ্খিত আচরণ করেছে ছাত্রলীগ নেত্রী যা নিয়ে পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ছড়িয়ে পরে
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলরুমে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের শেষ দিন আজ রোববার। তদন্ত কমিটির সদস্যরা নির্যাতিতা ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে ক্যাম্পাসে ডাকছেন। কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে ফুলপরী ক্যাম্পাসে যাচ্ছে না।
অর্থ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কোষাগার শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা তাকে নির্যাতন করে। রিট হলে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কিছু নির্দেশনাও দেন হাইকোর্ট।
ওই ঘটনায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুন্সী কামরুল হাসান দুই সহ-সভাপতি বনি আমিন ও রাকিবুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেনকে কমিটির সদস্য হিসেবে ডেকেছেন। তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সে হিসেবে রোববার তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের শেষ দিন।
ফুলপরী খাতুন আজ সকালে ফোনে বলেন, শনিবার বিকেল থেকে বিকাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতারা একাধিকবার ফোন করেছেন। তারা ক্যাম্পাসে যেতে বলেন। এ বিষয়ে তিনি প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শুধু ক্যাম্পাস ও কুষ্টিয়া শহর পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। কিন্তু বাড়ি আরও ৭৫ কিমি দূরে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তাহীনতার কারণে ক্যাম্পাসে যাচ্ছেন না তিনি।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী মো. তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তিনি
জানতে চাইলে ছাত্রলীগের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মুন্সী কামরুল হাসান বলেন, তাদের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু ফুল পরীর সাথে কথা বলি। ফুলপরী আসতে অপারগতা প্রকাশ করায় তার সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করা হবে। পরে সন্ধ্যায় তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ নেত্রীর নেতিবাচক আচরণের শিকার হয়ে ইবির চার শিক্ষার্থী এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ওই ছাত্রলীগ নেত্রী মাফ চাওয়ার কথা বলেছেন এমনটি খবর পাওয়া গিয়েছে