দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ এর ব্যাংকগুলোর সংকট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা এবং নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো হঠাৎ করে তারল্য সংকটে পড়েছে। সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংককে ঋণ দেওয়ার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। গত সোমবার সার্কুলার জারির পর মঙ্গলবার পাঁচটি ব্যাংককে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পাঁচটি ব্যাংক হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সবচেয়ে বেশি টাকা পেয়েছে, একই গ্রুপের পাঁচটি ব্যাংক।
বাংলাদেশের ১০টি ইসলামী ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। সাম্প্রতিক অস্থিরতার কারণে ব্যাংকের আমানত প্রতিদিনই কমছে।
সোমবার ব্যাংকটির আমানত কমেছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। গত ৩১ অক্টোবর ব্যাংকটির আমানত ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৭২ কোটি টাকা।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এতদিন যাবত সকল ইসলামী ব্যাংকে ঋণ দিয়ে আসছিল। কিন্তু ইসলামী ব্যাংক এখন টাকার জন্য অন্য ব্যাংকে যাচ্ছে। ফলে অন্যান্য ইসলামী ব্যাংকগুলো হঠাৎ করে তারল্য সংকটে পড়েছে।
এদিকে ইসলামী ব্যাংকগুলোকে তারল্য সুবিধা দিতে সোমবার সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেদিন থেকেই কার্যকর হয়। এই সুবিধার আওতায় ইসলামী ব্যাংকগুলো সুকুক (শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ বন্ড) জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নেওয়া শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ইসলামিক ব্যাংক লিকুইডিটি সুবিধার মাধ্যমে পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে ৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার এই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যোগ হবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মাজবাউল হক বলেন, সুকুকের বিরুদ্ধে প্রথম দিনেই চার হাজার কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সুকুকের বিপরীতে ইসলামী ব্যাংকগুলো প্রয়োজন মতো টাকা নিতে পারে।
উল্লেখ্য, ইসলামী ব্যাংকের বিরুধ্যে উঠেছে বেনামে বিপুল অঙ্কের ঋণ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ। জানা গেছে নতুন কোম্পানি খুলে কিংবা আগে থেকে ঋণ রয়েছে এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল অঙ্কের ঋণ দিয়েছে প্রতিষ্টানটি।