অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০১ সালে। ওই নির্বাচনে বিএনপি জামাত জোটের কাছে হরে যায় আওয়ামীলীগ এবং পরবর্তীতে ওই নির্বাচন নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ করে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক মুজতবা খন্দকার। নিচে সেটি তুলে ধরা হল-
“… ২০০১ সালে বিখ্যাত সালসা (সাহাবুদ্দীন-লতিফ-সাঈদ) নির্বাচন হয়েছিল। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন ছিলেন রাষ্ট্রপতি। বিচারপতি লতিফুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান। আর জনাব সাঈদ নির্বাচন কমিশন প্রধান। তিন জন মিলে সৃষ্টি করেছিলেন সালসা নির্বাচন। যার বলে বলীয়ান হয়ে উঠেছিল যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী জোট। শহরাঞ্চলের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলেছিলেন।
আমরা গুটিকয় এর প্রতিবাদ করেছিলাম এবং তার ফলও ভোগ করেছিলাম। আর এখন দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতে, জনাব সাঈদ সুষ্ঠু নির্বাচন করেননি। বস্তুত সুষ্ঠু নির্বাচনের তিনিই অন্তরায়। আমরা তখন বলেছিলাম, সামরিক বাহিনীর কারণে বিরোধী দলের ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। এমনকি তাদের প্রার্থীরাও লাঞ্ছিত হয়েছিলেন। কেউ তখন বিশ্বাস করেননি। এখন করেন। সারাদেশে তখন নির্বাচনের ঠিক আগে সাদা খাম বিতরণ হয়েছিল বলে শুনেছি। এসব কথা কারও ভালো লাগেনি।
… নির্বাচনে সেনা নিয়োগ হরহামেশা হচ্ছে, আইন না থাকলেও। আর সেনা নিয়োগের শর্ত কী হবে? জনাব সাহাবুদ্দীন যে পদ্ধতিতে ২০০১ সালে সেনা নিয়োগ করেছিলেন সে পদ্ধতিতে সেনা নিয়োগ করলে বাংলাদেশে আর নির্বাচনের দরকার হবে না। কারণ, সব সময় মৌলবাদীরা দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পাবে। সুতরাং বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার। যাদের সেনা সম্পর্কে মোহ আছে তাদের মোহ ভঙ্গ করতে চাই না। কিন্তু শর্তটা পরিষ্কার হওয়া উচিত॥”