বর্তমান কমতাসীন দল আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতার আসনে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে এবং এই দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতার মসনদে থাকার ফলে সুযোগ সন্ধানীরা তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বিশেষকরে প্রশাসন এর মধ্যে এজাতীয় অনেক মানুষ রয়েছে এই ব্যাপারে একটি কলাম লিখেছিলেন বিএম জাহাঙ্গীর তার লেখা কলামের আদ্যোপান্ত বিশ্লেষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শামসুল আলম ,নিচে সেটি তুলে ধরা হল-
আমার এক শ্রদ্ধাভাজন সিনিয়র লিংকটি পাঠিয়েছিলেন বলে কষ্ট করে পড়লাম। উনাকে ইনবক্সে যা মতামত দিয়েছি, এটা ওপেন করে দিলাম:
”মি. জাহাঙ্গীর আমাদের সময় বাচ্চা সাংবাদিক ছিল। শুনেছি সচিবালয় বিট করতো। প্রমোশনপ্রত্যাশী অনেকে নাকি যোগাযোগ রাখত, তাদের বানানো সংখ্যাভিত্তিক পেপার প্রকাশ করে তার পেশা ধরে রাখত। আমি কখনই তার চেহারা দেখিনি বা কথাও হয়নি। লেখা পড়ে মনে হলো, সে আমাকে চিনে না, গালগল্প শুনে আমার নাম নিয়েছে কেবল। ‘মিনি কেবিনেট’ লেখাটা তার অজ্ঞতার পরিচায়ক। যাক সে কথা, এখন সে যুগান্তরে উপসম্পাদক হয়েছে, বেশ!
তার এই লেখা পড়ে অনেক হায় আফসোস পেলাম কেনো অফিসাররা জয়বাংলার জন্য জীবন দেয়না! কেনো মুজিবীয় আদর্শ পুরোপুরি ধারণ করে না। তার লেখায় পেলাম না কবে কিভাবে আমাদের ব্যুরোক্রেসি সংবিধানে বর্ণিত নির্দলীয় জনসেবক হতে পারবে? মখা আলমগীর প্রশাসনকে দু’ভাগ করে যে সব্বনাশ করেছে আমলা জাতির, সে কথাটি বললো না একবারও। পিএসসি যে এখন প্রায় শতভাগ লীগ-আমলা জন্মদানের আতুড়ঘর
হয়েছে, সে লিখল না। আরও দুটো পয়েন্ট তার লেখায় পেলাম না:
১) পুলিশ সহ মাঠ প্রশাসন যেভাবে এখন লীগের দলীয় সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছে।
২) যেভাবে ভোট কেটে সরকার গঠনের হাতিয়ার হয়েছে, যা অতীতে কখনও ছিল না।
তাই তার লেখা পড়ে যে কেউ এক নিমিষে বলে দিতে পারবে, তার কলিজাটা আওয়ামী তেলে ভাজা, নিও-বাকশালের স্তাবক ছাড়া আর কিছু নয়।”