বাদুড়ের লালা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে নিপা ভাইরাস। বর্তমানে নিপাহ ভাইরাস দেশের ৩২টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সব হাসপাতালে আলাদা শয্যা ও আইসিইউ প্রস্তুত রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মূলত এই ভাইরাস কাঁচা খেজুরের রস খাবার কারনে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে।নিপাহ ভাইরাস থেকে বাঁচতে কাঁচা খেজুরের রস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের কাছে যাওয়ার সময় মাস্ক পরা সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে কোনো ওষুধ না থাকায় আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশ।
বাদুড়ের লালা থেকে এই মারণ রোগ ছড়ায়। সাধারণত শীতকালে খেজুরের রসের মাধ্যমে এই ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করে। বছরের অন্য সময়ে বাদুড়ের সাথে মানুষের যোগাযোগের সম্ভাবনা কম থাকে। ২০০১ সালে বাংলাদেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়।
জানা গেছে, গাছে হাড় বেঁধে খোলা পদ্ধতিতে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। রাতে এক ঝাঁক বাদুড় এসে খেজুর গাছে বসে। গাছে বসে বাদুড় জিভ দিয়ে কাটা অংশ থেকে রস চেটে খায়। এমনকি যে নল দিয়ে রস পাত্রে পড়ে, সেই নলটিতে মুখ লাগানো হয়। এভাবেই ছড়িয়ে পড়ে নিপাহ ভাইরাস।
রাজধানীর টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, নিপাহ ভাইরাস রক্তের মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কে আক্রমণ করে। ফলে রোগীরা নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এই ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাথমিকভাবে জ্বর, খিঁচুনি এবং শরীরে ব্যথা হয়। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর আক্রান্তদের প্রায় ৭০ শতাংশ মারা গেছে। আর তাই সতর্কতার অংশ হিসেবে কাঁচা খেজুরের রস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে বাদুড় যাতে গাছে বসতে না পারে সেদিকেও তাগিদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, এর আগেও নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে অনেকে যার কারনে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে এই কাঁচা রস খাবার ব্যাপারে কিন্তু অনেকেই সেটি না মেনে কাঁচা রস কাচ্ছেন এবং এই ভাইরাসের আগমন ঘটাচ্ছেন।