বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার ঘটনা এখনো মানুষ ভুলতে পারেনি এরই মধ্যে ফারদিন নামের এক ছাত্র না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধমে।
বুয়েটের ছাত্র ফারদিন কিছুদিন আগে না ফেরা দেশে গিয়েছে । নদীতে তার লা’শ পাওয়া গেছে। পত্রিকায় এসব পড়েছি। আমি আরও পড়েছিলাম যে তার দুই বান্ধবী ছিল। সেদিন রাত এগারোটা পর্যন্ত বান্ধবীর সঙ্গে ছিল। তারপর আরেক বান্ধবীর সাথে আড্ডা দিলো সকাল একটা পর্যন্ত। রাত একটার দিকে সে নিষিদ্ধ দ্রব্য নিতে অন্য জায়গায় যায়। না পেয়ে অন্য জায়গায় চলে গেলেন। সেখানে তাকে না ফেরার দেশে পাঠায় নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবসায়ীরা। পত্রিকাটি এমনটাই লিখেছে। হয়তো এগুলো সত্যি গল্প। কিন্তু আপনি কি নিশ্চিত, ছেলেটির দুই বান্ধবী ছিল? ছেলেটি কি নিষিদ্ধ দ্রব্য গ্রহণ করতো ? আবার লিখেছে, ওর বন্ধু-বান্ধবীরা নাকি জানত সে নিষিদ্ধ দ্রব্য নিতো ।
পত্রিকার রিপোর্ট পড়ে ছেলেটির বাবা-মায়ের কথা ভাবছিলাম। এটা তার ছেলের মৃত্যুর শোক। এখন খবরের কাগজের লোকেরা বলছে তাদের সন্তানের দুই বান্ধবী ছিল। নিষিদ্ধ দ্রব্য গ্রহণ করে ইত্যাদি এমনভাবে লিখেছিল যে মনে হয়েছিল ছেলেটি খুব খারাপ । এত দুঃখ কি করে সহ্য করবে এই বাবা-মা? আপনি কি আর একটু অপেক্ষা করতে পারতে না? ছেলেটির বাবা সাংবাদিক। আপনিও একজন সাংবাদিক। আপনি কি নিশ্চিত হতে আর একটু অপেক্ষা করতে পারতেন না?
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৪ তারিখে নিখোঁজ হয়েছিলেন বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর। তার নিখোঁজের কিছুদিন পর শীতলক্ষা নদীতে তার লাশ পাওয়া যায় এবং তদন্ত শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।