টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নাটকীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ এবং এই তার বোলিংয়ে বেশি ভাল না করলেও ব্যাটিং এ বেশ ভালো শুকনা করেছিল কিন্তু সে রক্ষা হয়নি, সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচ শেষে জানা গেল এই ম্যাচে বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে আরও ৫ রান যোগ হতে পারত। এমনটা হলে হয়তো হারের মুখে পড়তে হতো না টাইগারদের।
খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের আক্ষেপ, তাদের প্রাপ্য ৫০ রান পায়নি তারা। টাইগারদের তরফে ‘ভুয়া ফিল্ডিংয়ের’ অভিযোগ উঠলেও ভারতীয় দলকে কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি। দিন শেষে সাকিবের হারের ব্যবধান মাত্র ৫ রান। এই ব্যাপারটাও টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানের ম্যাচ জিততে না পারার দুঃখ না বাড়ায়, ‘ভুয়ো থ্রো নিয়ে মাঠে কথা হচ্ছিল। এটা আমাদের অনুকূলে যেতে পারত; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা ঘটেনি। ‘
অনেক সময় মাঠের ফিল্ডাররা বল না ধরেই থ্রো করার ভান করেন। এটি ব্যাটারদের বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ দেয়। তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে অনেক আগেই নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে যে ‘ফেক থ্রো’ করা যাবে না। শাস্তি হিসেবে ব্যাটিং দলের সংগ্রহে যোগ হবে ৫ রান। সেই ১০০ রান পেতে বাংলাদেশ দল বেশ কয়েকবার লড়াই চালিয়ে গেলেও কোনো লাভ হয়নি।
‘ভুয়া ফিল্ডিং’ প্রসঙ্গে নুরুল হাসান সোহান গণমাধ্যমকে বলেন, মাঠ ভেজা, আপনারাও বাইরে থেকে দেখছেন, আমরাও দেখছি। অবশেষে আমি মনে করি আমরা যখন কথা বলি… একটি জাল নিক্ষেপ ছিল। যেটা পেনাল্টি হতে পারত ১০ রান। যে আমাদের পথে আসতে পারে. দুর্ভাগ্যবশত সেটাও আসেনি।
জানা গেছে, ঘটনার সময় উইকেটে থাকা ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করেন। তবে আম্পায়ার তাকে বলেন, তারা এমন কিছু দেখেননি। ওই ওভার শেষে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টি বিরতির সময় বাংলাদেশ দলের কারিগরি পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরামও গিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। আম্পায়াররা এখনও বলেছিলেন যে তারা এমন কিছু দেখেননি।
বাংলাদেশ দলের সূত্র জানায়, আম্পায়ারদের ভুয়া ফিল্ডিংয়ের কথা বলা হলেও তারা তা আমলে নেননি। নকল ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতে নেন বিরাট কোহলি। ভারতের দেওয়া ১৮৫ রানের বড় টার্গেটের বিপরীতে বৃষ্টির আগে দরবার শুরু করে বাংলাদেশ। লিটন দাসের চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান করে তারা। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে লিটন ও শান্তর দুই রান নিলে কোহলি ভুয়া ফিল্ডিং করেন।
উল্লেখ্য, শুরুতেই লিটন দাস ভারতের বোলারদের তুলোধুনো করতে শুরু করেছিলেন এবং এই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতক অর্জন করেছিলেন তিনি ,কিন্তু বৃষ্টির পর মাঠে নেমেই আউট হয়ে যান তিনি এর পরেই শুরু হয় আসা যাওয়ার পালা।