মাঝ আকাশে বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় না ফেরার দেশে চলে যায় অনেকে। তবে এর পেছেন অবশ্য নানা কারন থাকে কিন্তু বিমানে ঝাঁকুনির কারনে না ফেরার দেশে যাওয়ার ঘটনা খুবই কম শোনা যায়। তবে এমন ঘটনা এবার ঘটছে, বিমানের প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে মাঝ আকাশে প্রাণ হারিয়েছেন এক যাত্রী। বিমানটি নিউ হ্যাম্পশায়ারের কিনের ডিলান্ট-হপকিন্স বিমানবন্দর থেকে ভার্জিনিয়ার লিসবার্গ এক্সিকিউটিভ বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বোম্বার সি এল ৩০ মডেলের একটি ব্যক্তিগত বিমানে (প্রাইভেট জেট) এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু মধ্য-এয়ার টার্বুলেন্সের কারণে শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় কানেকটিকাটের ব্র্যাডলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়। সিএনএন থেকে খবর।
ইউএস ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) একটি টুইটে বলেছে যে হিংস্র কম্পনের কারণে একজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। ওই সময় বিমানটিতে তিনজন যাত্রী ও দুজন কেবিন ক্রু ছিলেন। এনটিএসবি বাকি যাত্রীদের অবস্থা নিশ্চিত করেনি।
তবে বিমানবন্দরে বিমানের টেক-অফ ও অবতরণে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এনটিএসবি জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্তাধীন। বিমানের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
কানেকটিকাটের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাঝ বাতাসে মারা যাওয়া ব্যক্তির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছেন। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
বিমান দুর্ঘটনায় কি মৃত্যু হতে পারে?
বিমানে সিটবেল্ট বেঁধে না রাখলে এবং মাঝ বাতাসে ঝাঁকুনি পড়লে গুরুতর আঘাতের আশঙ্কা থাকে। এফএএ-র তথ্য অনুসারে, ২০০৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত, ১২১ টি বিমান কম্পনের কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮০ % কেবিন ক্রু।
উল্লেখ্য, বিমানে প্রচন্ড ঝাঁকুনির ফলে যাত্রীদের না ফেরার দেশে যাওয়ার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। এনটিএসবি বলেছে, ১৯৮০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত, বিমান দুর্ঘটনায় আঘাতের কারণে মাত্র তিনজন মারা গেছে।