জমি নিয়ে মনোমালিন্য এর ঘটনা প্রায় সময় গ্রামগঞ্জে ঘটে এমনটা শোনা যায় তবে শহরেও এর ব্যাতিক্রম নয় এবার দেখা গেল ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তেঘরিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পেয়ার আলী নয়ন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় এক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহত ব্যবসায়ী ওয়ালীউল্লাহকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। তাকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রোববার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের স্বর্গপুরী মন্দিরের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওই ব্যবসায়ী।
ওয়ালিউল্যাহ যুগান্তরকে বলেন, তিন-চার মাস আগে ওই ওয়ার্ডের তিন শতাংশ জমি কিনেছি। এক সপ্তাহ আগে আমিন দিয়ে এলাকা পরিমাপ করে বাঁশের খুঁটি দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
হঠাৎ শুনলাম ১৫ থেকে ২০ জন লোক এসে আমার সীমান্তে বাসের খুঁটি উপড়ে ফেলেছে। এ কথা শুনে রোববার বিকেল ৫টার দিকে স্বর্গপুরী মন্দিরের পাশে আমার জমিতে গিয়ে দেখি কেরানীগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পেয়ার আলী নয়ন ও তার দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে। তখন মেম্বার নয়নকে জিজ্ঞেস করলাম, খুঁটি সরিয়ে দিলেন কেন?
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে তার হাতে থাকা অ্যান্টি-কাটার ব্লেড দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে এবং আমাকে ঘুষি দেয়। এরপর তার পোষা সন্ত্রাসী পশ্চিমদীর শ্যামপুর গ্রামের সাত্তার ব্যবসায়ীর ছেলে আক্তার বেপারী, বাঘাইর চৌধুরীপাড়া এলাকার জহিরের ছেলে রাসেল আমাকে ঘুষি মারতে থাকে।
আমি চিৎকার করে কোনরকমে তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাই। এ সময় আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি তারা আমাকে হত্যার জন্য ইট ছুড়ে মারে। আমি বসে পড়লাম। আমি সবে বেঁচে গেছি.
তখন মেম্বার চিৎকার করে বলেন- এই এলাকা আমার, পুলিশ আমার অনুমতি ছাড়া এ এলাকায় আসতে ভয় পায়। আর তুমি কিছুই না। তোমাকে এখানে দেখলে তোমার ঘাড় দুই ভাগ করে দেব।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে ইউপি সদস্য পিয়ার আলী নয়নের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে বিষয়টি লিখে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি উত্তর দেননি।
এদিকে এই জমি নিয়ে যে বিরোধ এর ঘটনা এবং একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে হয়েছে এই বিরোধের জেরে এই ঘটনা প্রসঙ্গে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহজামান বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।