বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর রাজনৈতিক যে মনোভাব তা নিয়ে মানুষের মনে রয়েছে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেও নানা প্রতিক্রিয়া রয়েছে বিএনপিকে নিয়ে অন্যদিকে বিরোধী দল বিএনপির ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা অভিযোগ সব মিলিয়ে রাজনৈতিক একটি সংকট লক্ষ করা যাচ্ছে এই মুহূর্তে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক শামসুল আলম। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
২২ অক্টোবর ২০২২ লিখেছিলাম>>
“যিনি ক্ষমতা থেকে বিদায় নিবেন, তার ভয়টা যেহেতু বেশি, তাই বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী চাইলে এখনও জাতীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে ছুটে যেতে পারেন সংকট সমাধানের জন্য। সবার নিশ্চয় স্মরণে আছে ২০১৩ সালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনার কাছে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমাকে জেলে পাঠাবে কি না? জবাবে বেগম জিয়া কিন্তু সমঝোতার কথা বলেছিলেন, প্রতিহিংসা না করার কথা বলেছিলেন। কাজেই চলমান জাতীয় সংকটের সমাধান এখনও দেশনেত্রীর কাছে আছে। তিনি ডাক দিলে দেশের রাজনীতি যেমন ঠিক করতে পারবেন, তেমনি দেশের জনগনও শান্ত থাকবে। এই ক্ষমতা দেশের আর কারও কাছে আছে বলে মনে হয় না। নব্বইয়ের মত সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।”
চারিদিকে আলামত দেখে মনে হচ্ছে, এই ফরমুলার পথে হাটছে লীগ সরকার। আজও নিশিভোটের সরকারের কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকের অপ্রয়োজীয় পরামর্শ, “বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই। তিনি জেলে থেকেও দল পরিচালনা করতে পারবেন, বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে পারবেন।” কয়েকদিন ধরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রেসক্রিপশন দিয়েই যাচ্ছেন, “খালেদা জিয়া মুক্ত মানুষ। তিনি চাইলে রাজনীতি করতে পারবেন, কোনো বাধা নাই।” ধীরে ধীরে তারা আগাচ্ছে। তবে কথা একটাই- ক্ষমতা ছাড়তে হবে- ধানাই পানাই করে কোনো লাভ হবে না।