ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য বরাবরই যথাসাধ্য চেষ্টা করে থাকেন তিনি। খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট যেন একেবারেই সহ্য করতে পারেন না।
সেই ধারাবাহিকতায় চা শ্রমিকদের কষ্টের কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চা শ্রমিক সোনামনি ও রিতা পানিকাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কেঁদেছেন।
গতকাল শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিলেটের লাক্কাতুরা বাগান গলফ মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কমলগঞ্জের পাত্রখোলা চা বাগানে জড়ো হয়েছেন জেলার ৯২টি চা বাগানের শ্রমিকরা। কর্মীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান রিতা পানিকা। বেতন বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে রীতা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা সব সময় আপনার কথা ভেবেছি এবং ভাববো। আপনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন। সেই স্বাধীনতা নিয়েই আমরা বেঁচে আছি। আমাদের একটাই চাওয়া আপনি আমাদেরকে আপনার বাবার মতো ছেড়ে যেয়েন না। আপনি আমাদের সাথে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
রীতা আরো বলেন, আমরা চা শ্রমিকদের কষ্ট আপনারা দেখেছেন। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের কমলগঞ্জ উপজেলায় এক কাপ চায়ের আমন্ত্রণ রইল। আমরা খুব খুশি যে আপনি আমাদের সাথে কথা বলছেন।
রীতা পানিকা বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোনো ভুল হলে আমাদের ক্ষমা করবেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবেগে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। আঁচলে চোখ মুছে বলেন, আপনারা কেন ক্ষমা চাইবেন। আপনারা যেটা করেছেন বাঁচার তাগিদেই করেছেন। সেটা বুঝি আমি। এ জন্যই আগে বাগান মালিকদের সঙ্গে বসেছি, এখন আপনাদের সঙ্গে কথা বললাম।
প্রধানমন্ত্রীর চোখে জল দেখে কেঁদে ফেলেন চা শ্রমিকরা।
এ সময় আরেক চা শ্রমিক সোনামণি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে আমরা খুশি। আগে ১২০ টাকা পেতাম, এখন ১৭০ টাকা পাই। আমাদের আর কোন চাহিদা থাকবে না। আপনি আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন, যাতে আমরা পেট ভরে খেতে পারি।
এর আগে নিজের বক্তব্যে শেখ হাসিনা অনেকবারই বলেছিলেন, দেশ ও দেশের মানুষের জন্যেই রাজনীতি করেন তিনি। আর এর প্রমাণও পেতে শুরু করেছেন দেশের মানুষ।