বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর অন্যতম বড় রাজনৈতিক অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আর এই ছাত্র লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় দায়িত্বে রয়েছেন লেখক ভট্টাচার্য এবং আল নাহিয়ান খান জয়। এ দিকে তাদের বিরুদ্ধে সম্প্ৰতি উঠেছে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ। যার কারনে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা কর্মীরা সাক্ষর গ্রহণ করে অভিযোগ পত্র তৈরী করে। তবে তা গ্রহণ করেনি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক উকার ভট্টাচার্যের ‘অপকর্মের’ বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতার লিখিত অভিযোগ জমা দিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক নেতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান। মন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে সিলগালা অভিযোগপত্র হস্তান্তরের কথা থাকলেও তিনি তা মানতে রাজি হননি। পরে ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের চার নেতার কাছে চার্জশিট হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কামাল খান অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার স্বেচ্ছাচারিতা, কেন্দ্রীয় নেতাদের অবমূল্যায়ন, পোস্ট-বাণিজ্য, প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই ছাড়া কমিটি গঠন, চাঁদাবাজ নিয়োগসহ সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ড। কমিটিতে মাদকাসক্ত, ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। . এছাড়া সম্মেলনের মাধ্যমে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছি। অভিযোগপত্রে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিভিন্ন অপকর্ম বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন প্রায় শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, চার বছর চার মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়নি এবং এ বিষয়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তারা বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেননি। বর্তমান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মেয়াদ চার বছর তিন মাস পার হয়েছে। এ অবস্থায় নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রাখার জন্য এবং সংগঠনকে বিতর্কিত করতে সম্মেলন ছাড়া যাতে নতুন করে কোনো কমিটি করতে না পারে সে জন্য সংগঠনের অভিভাবকের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত , দীর্ঘদিন ধরেই তাদের দুজনের নাম নানা ধরনের অপকর্মের অভিযোগ উঠছিলো খোদ ছাত্রলীগ থেকেই। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান হলেও তারা কোন ধরনের দায়িত্ব পালন করছেন না।