বিশ্বকাপে এবারে আনা হয়েছে বিশেষ প্রযুক্তি। ভিএআর প্রযুক্তির মাধ্যমে ফুটবলের অফসাইড নিখুঁতভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। তবে এই প্রযুক্তি নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা ও শুরু হয়েছে এখন থেকে। কাতারে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে প্রিয় দলের হার দেখে কাবু হবেন না এমন ভক্ত খুঁজে পাওয়া কঠিন। কত গোল বাতিল হয়েছে, কত বিতর্কিত পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই আধুনিক ফুটবল প্রযুক্তি।
অনেকেই বলছেন, ভিএআর প্রযুক্তির কারণে বিশ্বকাপে অন্যায় কিছু ঘটেনি। তবে অধিকাংশ ফুটবল ভক্তের ‘চোখে বালি’ হল ভিএআর। ৩৫ বছর বয়সী উরুগুয়ের স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি কিছু ফুটবল ভক্তের ইচ্ছা পূরণ করলেন।
শুক্রবার ঘানার বিপক্ষে এইচ গ্রুপের ম্যাচে ২-০ গোলে জিতে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে উরুগুয়ে। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ উরুগুয়ের ফুটবলাররা। মাঠ থেকে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে টানেলের মুখে একটি ‘ভিএআর’ মেশিন রয়েছে। কাভানির সমস্ত রাগ তার উপর পড়ল। এক পাঞ্চ ভিএআর মেশিনের পর্দা ভেঙে! ক্যামেরার চোখ এড়ায়নি এমন ঘটনা।
ম্যাচের ৫৮ মিনিটে পেনাল্টির আবেদন করে উরুগুয়ে। ভিএআর চেক করার পরেও পেনাল্টি দেওয়া হয়নি। এরপর জার্মান রেফারি ড্যানিয়েল সিবার্টকে চেপে ধরেন উরুগুয়ের ফুটবলাররা। তার সাথে তর্ক করে। বেশিরভাগ ফুটবলারই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন।
রেফারিও হলুদ কার্ড দেখান। এই কারণেই কাভানির সমস্ত রাগ ভিএআর মেশিনের দিকে গিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কাভানির ক্ষোভের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ২০০২ বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ীরা গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন লুইস সুয়ারেজ।
উল্লেখ্য, এবারের বিশ্বকাপে ভাল সূচনা করতে পারেনি উরুগুয়ে। তারা যেভাবে ফুটবল খেলে সেভাবে এই বিশ্বকাপে পার্ফমেঞ্চ করতে পারেনি ফলস্বরূপ গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে তারা