বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং গণমাধমে আলোচিত সেই দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের ব্যাপারটি নিয়ে কথা হচ্ছে। অনেকেই তার এই ঘটনা নিয়ে সহমর্মিতা জানাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্রেফতার ও ঘুষ দাবির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিন ভুক্তভোগী।
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের দুই কর্মকর্তা ও প্রবাস থেকে ফেরা এক ব্যবসায়ী।
শরীফের শাশুড়ির বাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কর্ণফুলী গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) সারোয়ার হোসেনকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও হয়রানি করেন বলে অভিযোগ করেন তারা। দিদারুল ইসলাম নামে আরেক কর্মকর্তা; কোম্পানিতে সততার জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়া এক ব্যক্তিকে বিনা কারণে মামলায় আসামি করে হয়রানি করা হয়েছে।
তারা জানায়, শরীফ হাউজিং কোম্পানি আরএফ প্রপার্টিজের মালিক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় একটি প্রকল্প থেকে বিনামূল্যে দুটি দোকান দাবি করে। দোকান না দেওয়ায় শরীফ দেলোয়ার, তার অবিবাহিত মেয়ে ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা করেন। বছরের পর বছর মিথ্যা মামলার শিকার হতে হয়েছে তাদের। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা শরীফের একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ দাবি করার একটি অডিও রেকর্ডিংও শোনান।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বলেন, হয়রানি, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে শরীফকে দুদক থেকে বহিষ্কার করা হলেও এখন তিনি নিজেকে সৎ দাবি করে চরম মিথ্যাচার করছেন। আবার দুদকে ফেরার জন্য প্রচুর তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। তারা শরীফের আয়ের উৎস, কোথায় তার সম্পদ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়ে তার বিরুদ্ধে আরও তদন্তের দাবি জানান।
দুদক কর্মকর্তা শরীফকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে সর্বত্র তার এই পরিস্থিতি নিয়ে অনেকে নানা মন্তব্য করছেন এবং তার সার্বিক মঙ্গোল কামনা করছেন অনেকে কিন্তু এবার দেখা গেলো তার বিরুধ্যে গুরুতর অভিযোগ ও আনলেন ভুক্তভোগীরা।