নারায়ণগঞ্জে সম্প্রতি ঘটে গেছে আন্দোলন নিয়ে আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা। শাওন নামের একজন নিহত হন আন্দোলন মিছিলের এক পর্যায়ে। আর এই ঘটনা নিয়ে এখন সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা আর সমালোচনা। বিশেষ করে শাওনের মৃ’ত্যুর পরে আওয়ামীলীগ বলছে সে আওয়ামীলীগের রাজনিতী করতো আর বিএনপি বলছে সে বিএনপির রাজনীতি করত এ নিয়ে ধুম্রজাল যেন কাটছেই না।
এ দিকে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে পুলিশের বাধাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত শাওন প্রধানের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। বিএনপি ও যুবদল নেতারা তাকে যুবদলের কর্মী বলে দাবি করেছেন। আওয়ামী লীগ বলছে- শাওন যুবলীগের কর্মী। জেলা পুলিশ সুপার বলেন, শাওন যুব কর্মী নন। সে ফতুল্লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেনের ভাতিজা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টায় ফতুল্লার নবীনগর এলাকায় শাওনের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তারা শাওনের হত্যার বিচার চেয়েছেন। অন্যদিকে শাওন গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে মিছিলের সামনের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া শাওনের অতীত বিএনপির কর্মকাণ্ডের বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করা হয়েছে ফেসবুকে। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টার বলেন, শাওন আমাদের এলাকার ছেলে। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর ভাগ্নে মো. শাওন যুবলীগের রাজনীতি করতেন। আমরা এই হ’ত্যা’র বিচার চাই। যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক বলেন, শাওন আমার সাথে যুবদলের রাজনীতি করতেন। ফতুল্লা থানা যুবদলের প্রস্তাবিত কমিটিতে তার নাম রয়েছে। শাওনের বড় ভাই মিলন প্রধান গণমাধ্যমকে বলেন, শাওন এর আগেও বেশ কয়েকবার বিএনপির কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন। আমরা তাকে শাসন করেছি। তারপরও সে গোপনে বিএনপির রাজনীতি করত।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, শাওনকে আওয়ামী লীগের কর্মী বানানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের কাছে পরিষ্কার- তিনি বিএনপির কর্মী ছিলেন।
এ দিকে শাওনের ময়না তদন্ত রিপোর্টে বেড়িয়ে এসেছে আরেকটি চাঞ্চল্যেকর তথ্য। আর সেটি হলো তার শরীরে পাওয়া যায়নি কোন ধরনের গুলি যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন রহস্য।