Thursday, March 23, 2023
বাড়িopinionরিয়াজের কথায় বোঝা গেলো সেই নায়িকা দুজনেই স্বেচ্ছায় নুড ফটোশুট করেছে :মাহবুব

রিয়াজের কথায় বোঝা গেলো সেই নায়িকা দুজনেই স্বেচ্ছায় নুড ফটোশুট করেছে :মাহবুব

Ads

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লেখালেখি করেন সমাজের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এবং নানা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন লেখক মাহবুব মোর্শেদ। বিনোদন জগতের একটি ঘটনা কেন্দ্র করে এবার তিনি একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –

Md Tarique Mahamud দারুণ একটা আলোচনা লিখেছেন।
৮০’র দশকের ঢাকার দুই জনপ্রিয় চিত্র নাইকার নুড ছবি ইন্টারেনেটে ফাঁস হলো বেশ কয়েক বছর আগে। তখন ছবি দুটোকে অফিসিয়াল্লি ফটোশপ বলে ঘটনা সামলানো হয়। কিন্তু ফটোগুলো যে অরিজিনাল সেটা যেমন পুলিশ জানে, তেমনি জানে নাইকা দুজনও। বর্তমানে তারা আবার সরকারের হোমরাচোমরা লেভেলের ব্যক্তিত্ব। বিভিন্ন মাধ্যমে পুলিশকে তারা চাপ দিয়ে যাচ্ছিলো আসল কালপ্রিটকে পাকরাও করার জন্য। অথচো তারা পুলিশকে এই ব্যাপারে কোন তথ্য দিতেই আগ্রহী নয়!

ঘটনার কোচোঁ ধরে সাপ খুঁজে বের করার দায়িত্ব পড়লো পুলিশ অফিসার রিয়াজের ঘাড়ে। অফিসার রিয়াজ তার বসের পরার্মশে খুঁজে বের করলেন এক সময়ের ডাকসাইটে ক্রাইম রিপোর্টার, বর্তমানে অবসর কাটানো আশফাক সাহেব কে। ঘটনা শুনে আসফাক সাহেব রীতিমত থ্রিলড! এই নাইকা দুজনেই তাদের সময়ের ক্রাশ! রিয়াজের কথায় বোঝা গেলো তারা দুজনেই স্বেচ্ছায় নুড ফটোশুট করেছে!
৮০’র দশকে ঢাকা শহরে নুড ফটোশুট, তাও তৎকালীন জনপ্রিয় দুই নাইকার, যাদের মধ্যে আবার সেই সময়ে ছিলো তীব্র রেশারেশি!

ভীষণ কৌতুহল নিয়ে তদন্তে যুক্ত হলেন আশফাক সাহেব। দুজনে জুটি বেধে শুরু করলো খোঁজ-খবর। তদন্তের মধ্যে দিয়ে উঠে এলো ৮০’র দশকের চলচিত্রের বেশ অনেক তথ্য, বেরিয়ে এলো তৎকালিক এক প্রডিউসারের দারুন এক গল্প।
তবে, এখানেই শেষ নয়, যে জাপানি ক্যামেরায়, মিনোল্টা ম্যাক্সাম ৭০০০, দিয়ে ছবিগুলো তোলা হয়েছিলো, সেই ক্যামেরার সূত্র ধরে ঢাকা থেকে চট্রাগ্রাম, আবার চট্রগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত দৌড়াদৌড়ি করতে হলো দুজনকে। পত্রিকার পুরানো কলিগ থেকে শুরু করে বাংলাবাজারে প্রকাশকের দরবারে পর্যন্ত ঢু মারতে হলো তদন্তের খাতিরে।

রিয়াজ-অশফাক পারবেন কি মিনোল্টা ম্যাক্সাম ৭০০০ নামের যে ক্যামেরায় ছবিগুলো তোলা হয়েছিলো, তার পেছনের লোকটা খুঁজে পেতে। আর এতদিন পরে কেনই বা ছবিগুলো ছাড়ানো হচ্ছে তার কারণ খুঁজে বের করতে?
পাঠক, এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আপনাকে পড়তে হবে মাহবুব মোর্শেদ রচিত থ্রিলার মিনোল্টা ম্যাক্সাম ৭০০০।
ছোট উপন্যাস। উপন্যাস না বলে নোভেলা বলাই ভালো। ৯৭ পৃষ্ঠা। চমৎকার ঝরঝরে গদ্য। অতি-কথন নেই। আসফাক সাহেবের পুরানো স্টাইলে তথ্য খোঁজ করার পদ্ধতির সাথে রিয়াজের মর্ডান প্রযুক্তি প্রয়োগের চমৎকার মিশেল আছে। আর ক্যামেরার সূত্র ধরে যেভাবে ধাপে ধাপে তার লিড বাই লিড এগিয়েছেন, এক কথায় চমৎকার!

পড়া শেষ মনে হয়ছে মাহবুব মোর্শেদ চাইলে এই জুটিকে নিয়ে আরো কিছু থ্রিলার লিখতে পারেন।
থ্রিলার প্রেমিদের জন্য মিনোল্টা ম্যাক্সাম ৭০০০ পড়ার রেকমেন্ডেশন রইলো।
বইটা আদর্শের মুক্ত বইমেলা থেকে কিনেছিলাম। ওই দিন লেখকও উপস্থিত ছিলেন। তো, ছবিতে বই, বইয়ের লেখক এবং রিভিউ দাতাকে আপনাদের জন্য তুলে দিলাম।

Looks like you have blocked notifications!
Ads
[json_importer]
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments