গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহিনবাগে গুম হওয়া এক ব্যাক্তির বাসায় গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস তবে সেখান থেকে ফেরার পথে তার সাথে ঘটে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আব্দুল হয় সঞ্জু। নিচে সেটি তুলে ধরা হল-
সম্প্রতি ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের ডাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের উপস্থিতিতে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সেটিকে নিরাপত্তাহীনতা বলতে নারাজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ বুধবার দুপুরে রাজশাহী পুলিশ লাইনসে জেলা পুলিশের উদ্যোগে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।”
———
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়তো জানেন না ‘নিরাপত্তা’ এর অর্থ অনেক ব্যাপক। পুলিশ মোতায়েন করলেই নিরাপত্তা দেয়া হয়ে যায়না। তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষাও নিরাপত্তার অংশ।
পিটার হাস ১৪ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর শাহীনবাগে নিখোঁজ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় যাবেন- এই তথ্য দুইভাবে ফাঁস হতে পারে।
১) মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা করে থাকতে পারেন। তবে এই সম্ভাবনা যথেষ্ট কম। মার্কিন দূতাবাস তাদের কর্মকর্তাদের ওপর আস্থা রাখে বলেই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
২) পুলিশের পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ফাঁস হয়ে থাকতে পারে। প্রত্যক্ষভাবে ফাঁস হয়ে থাকতে পারে স্থানীয় থানা অথবা বিট পুলিস থেকে। পরোক্ষভাবে ফাঁস করার উপায় খুব সহজ। ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ আগের রাত থেকে সাজেদুল ইসলামের বাসার আশেপাশে মোতায়েন করলে স্থানীয় আওয়ামীলীগের লোকজনই বুঝে নিতে পারে, এখানে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।
৩) সবচেয়ে বেশী সন্দেহজনক বিষয় হলো, স্মারকলিপি প্রস্তুত করা। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বরাবর স্মারকলিপি লিখতে হলে আলাদা সময় নিয়ে নতুনভাবে লিখতে হবে। ‘মায়ের কান্না’ এর লোকজন অবশ্যই অনেক সময় হাতে পেয়েছে স্মারকলিপি লেখার। অর্থাৎ, তাঁরা সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে আগেই। এই তথ্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন থেকেই ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী।