বাংলাদেশ থেকে অনেক অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় অর্থ পাচার করে থাকে এবং তাদের এমন কর্মকান্ডের কারনে বিপাকে পরে যায় দেশের অর্থনীতি। এবং এর প্রভাব দেশের রিজার্ভকেও প্রভাবিত করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আব্দুল হাই সঞ্জু। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
বাংলাদেশ থেকে এবার হজ্জ গমনে ‘শেখ হাসিনা ট্যাক্স’ নামে নতুন একটি ট্যাক্স বসানো হয়েছে। এ কারণে খরচ বেড়ে যাওয়ায় হাজী পাওয়া যাচ্ছেনা।
শেখ হাসিনাও খুশী। কারণ যতো বেশী মানুষ হজ্বে যাবেন, ততো বেশী ডলার বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাবে। শেখ হাসিনার তো এখন আমদানী করার ডলারও নাই। রিজার্ভ এর অপব্যবহার এবং রিজার্ভ উজাড় হওয়ার কারণে এখন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য কমে গেছে। ফলে হজ্বে যাওয়ার খরচ বেড়ে গেছে। গোলাপদের টাকা পাচারের বোঝা এখন বহন করতে হচ্ছে হাজীদের।
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই প্রায় দেড় লাখ টাকা বেড়েছে।
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- হাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী গণমাধ্যমকে বলেন, হজের খরচ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ডলারের দাম বৃদ্ধি ও বিমান বাংলাদেশের অতিরিক্ত বিমান ভাড়া।
‘শেখ হাসিনা ট্যাক্স’ আদায় করেও যারা এবার হজ্বে যাবেন, তাদের দোয়া শেখ হাসিনা পাবেন কিনা আমি জানিনা। তবে এসব হাজীদের হজ্ব যেন ‘মকবুল হজ্ব’ হয়, সেই দোয়া করি।