কানাডার বেগম পাড়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের বাড়ি কেনার খবর নিয়ে এখন বেশ আলোচনা চলছে এদিকে দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির প্রপার্টি কেনার বিষয়ে চার সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের সম্পাদককে সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশের তথ্য গোপন করে ৪৫৯ জন বাংলাদেশি দুবাইয়ে সম্পত্তি কিনেছেন।
২০২০ সাল পর্যন্ত, তারা কাগজে ৩১ .৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের মোট ৯৭২ টি সম্পত্তি কিনেছে।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়। জনস্বার্থে এ আপিল করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস। আবেদনে বিএফআইইউ, দুদক, এনবিআর ও সিআইডিকে বিবাদী করা হয়। একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার সম্পত্তি’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ আবেদন করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে ও গোপনে বিপুল পরিমাণ পুঁজি দুবাইয়ে পাচার হচ্ছে। এই অর্থ পুনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে দুবাইয়ের আর্থিক, রিয়েল এস্টেট এবং হাউজিং (রিয়েল এস্টেট) খাত সমৃদ্ধ হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ দ্বারা সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে যে বাংলাদেশের তথ্য গোপন করে ৪৫৯ বাংলাদেশি দুবাইতে সম্পত্তি কিনেছেন। ২০২০ সাল পর্যন্ত, তারা কাগজে ৩১ .৫ মিলিয়ন মূল্যের মোট ৯৭২ টি সম্পত্তি কিনেছে। কিন্তু বাস্তবে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশিরা বিদেশে বাড়ি করে তাদের সেকেন্ড হোম তৈরী করে থাকে বিশেষ করে কানাডাতে এই সংখ্যা অনেক বেশি। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের অধিকাংশ দুর্নীতিগ্রস্থ মানুষ সেখানে বাড়ি বানিয়েছে।