যশোরে জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ জানা গেছে তিনি ভোটারদের বিলাসবহুল হোটেলে থাকা খাবার এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই ঘটনা জানাজানির পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
যশোর-৪ আসনের (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়ের নামে যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগের রাতে বিলাসবহুল হোটেলে অর্ধশত ভোটারদের আপ্যায়নের ও রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করেছেন। তার সঙ্গে বাঘারপাড়ার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চুও রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বাঘারপাড়ার ওরিয়ন হোটেলে ভোটারদের জন্য তিনি এ ব্যবস্থা করেন। এ অভিযোগে বাঘারপাড়া নির্বাচন স্থগিত চেয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করেন তালা প্রতীকের সদস্য প্রার্থী রাকিব হাসান শাওন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সংসদ সদস্য রনজিত রায় নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলার পক্ষে কাজ করেন। সোমবার সকালে হোটেলে অবস্থানের পর ওই ভোটাররা ভোট দেবেন।
বাঘারপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর তাসলিমা খাতুন বলেন, “বাঘারপাড়ার ১৩৩ ভোটারের মধ্যে প্রায় ৫০ জন ভোটার হোটেল ওরিয়নে এসেছিলেন। সাংসদ রঞ্জিত রায় তাদের সদস্য প্রার্থী ভোলার পক্ষে কাজ করতে বলেছেন। আমরা হোটেলে থাকার পর সোমবার সকালে ভোট দিতে যাব।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভোটার বলেন, হোটেলে থাকা-খাওয়াসহ অন্যান্য খরচ এমপি সাহেব বহন করছেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে হোটেলে এসেছেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায় বলেন, আমি কাউকে ফোন করিনি। সবাই হোটেল থেকে ভোট দিতে যাবে। কেন হোটেলে এসেছে তা তারা জানে।
যশোরের ঊর্ধ্বতন নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিচুর রহমান বলেন, বিষয়টি তারা জানেন না। বিষয়টি পুলিশকে জানাতে পারেন। আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ঘটনাটি জানাচ্ছি।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে আমি বিষয়টি দেখব।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী নীতিমালা লঙ্ঘনের জন্য এবার যশোরের সংসদ সদস্যের বিরুদ্দে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় অর্ধশতাধিক ভোটারদের তিনি বিলাসবহুল হোটেলে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করেছেন এবং রাতভর অপ্পয়ান করেছেন।