সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ঘটে গিয়েছে অনাকাঙ্খিত ঘটনা সেই ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে অনেক মানুষ এদের মধ্যে একজন হলেন সম্রাট হোসেন। তবে তার না ফেরার দেশে যাওয়ার পর বেশ বিপাকে পড়েছে তার স্ত্রী।ডেথ সার্টিফিকেট নিতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে যাচ্ছেন তার স্ত্রী এলমা আক্তার। ঘটনার দিন ও রাতে স্বজনরা হাসপাতাল থেকে সম্রাটের লাশ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রোববার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য ঢাকা মেডিকেল সেন্টারে যান তার স্ত্রী।
সম্রাটের পিতা মরহুম আশরাফ উদ্দিন গামা। বনশাল নং ২৫ মালিটোলা তাদের নিজস্ব বাড়ি। বাড়ির পাশেই ২৭ নম্বর এলমাদার। সম্রাট দুই সন্তানের জনক। ছেলে সারাফ (৫) ও চার মাসের মেয়ে সারা। সম্রাট ৮ বছর ধরে চাচাতো ভাই মমিন উদ্দিন সুমেনের সিদ্দিকবাজারে আনিকা এজেন্সির দোকানে কাজ করতেন। তিনি বেতন পেতেন ২০ হাজার টাকা।
এলমা আক্তার বলেন, বিস্ফোরণের দিন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া অন্যান্য লাশের মতো সম্রাটের লাশও উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সম্রাটের বন্ধুসহ এলাকার লোকজন হাসপাতালে কোনো খবর না দিয়ে জোরপূর্বক তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই রাতেই আজিমপুরে তার লাশ দাফন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রোববার (১২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে আমি দুই দিন আগে এই সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে এলেও পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।’ এলমা বলেন , ‘আমি আমার দুই সন্তানকে নিয়ে কার কাছে যাব? কীভাবে সংসার চালাবেন ওই ঘটনায় স্বামীর দোকানদারেরও মৃত্যু হয়েছে। আমার দুটি ছোট বাচ্চা আছে। কোনো সাহায্য পেলে শিশুদের নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন হতো।
ইলমা জানান, অনুদানের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে জানানো হয়েছে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া কিছুই করা যাবে না। তাই তিনি হাসপাতালে আসেন।
ইলমা আরও জানান, ঘটনার দিন তিনি হাসপাতাল থেকে কোনো কাগজপত্র নেননি।
তিনি বলেন, ‘তাদের কোনো দাদা-দাদি নেই। বাড়িটিও সম্রাটের চাচা ও বাবার নামে। শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় এখন দৌড়াচ্ছি। আমার সাথে কেউ নেই সম্রাটের পরিবারের কেউ নেই আমাকে সাহায্য করার জন্য। আমি এখন অসহায়। ঘটনার পরের দিন থেকে আমি কয়েকবার জেলা প্রশাসনের কার্যালয় ও হাসপাতালে গিয়েছি। কেউ কোনো সমাধান দিচ্ছে না।
ডিএমকে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ঘটনার দিন নিহতের স্বজনরা হাসপাতালের কর্মচারী ও কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে জোরপূর্বক লাশ তুলে নিয়ে যায়। তবে এটি যে সম্রাটের মৃতদেহ তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। এ জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তারপর বলা যাবে বিষয়টি হাসপাতালের রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে কি না বা ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া যাবে কি না।
উল্লেখ্য, গুলিস্থানের সিদ্দিক বাজারের ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কারন এখনো অজানা তবে মনে করা হচ্ছে এই ঘটনা মূলত এয়ার কন্ডিশনার এর মাধ্যমেই ঘটেছে এর আগেও এমন ধরনের ঘটনা রাজধানীতে ঘটে এবং সেখানে না ফেরার দেশে যায় অনেকে