দলীয় মনোনয়ন পেতে অনেকেই অনেককিছু করে থাকেন এবং অনেক সময় দেখা যায় কাঙ্খিত মনোনয়ন পাওয়ার জন্য অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়। বিশেষ করে দেখা গিয়েছে ক্ষমতাসীন দল এর মনোনয়ন পেতে অনেক প্রভাবশালী লোকজন অনেক অর্থ খরচ করেছে অতীতে। এই প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আব্দুল হাই সঞ্জু। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
শেখ হাসিনাকে বুলেট প্রুফ গাড়ি কেনার টাকা দিয়েছিলেন লন্ডনের শফিকুর রহমান চৌধুরী। এছাড়া ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে লন্ডন থেকে শেখ হাসিনাকে যখন বাংলাদেশে ফিরতে দেয়া হচ্ছিল না, তখন লন্ডনে শেখ হাসিনার পক্ষে জোরদার ক্যাম্পেইন করেছিলেন শফিক চৌধুরী। তবে সেই ক্যাম্পেইনে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছিলেন আনয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
বিনিময়ে শফিকুর রহমান চৌধুরীকে একবারই দল থেকে এমপি মনোনয়ন দেন শেখ হাসিনা। এর পরে আরও দুটি নির্বাচন হয়েছে। শেখ হাসিনা তাঁকে মনোনয়ন না দেয়ায় তাঁর মন খারাপ হয়েছে। অর্থাৎ, একবার মনোনয়নের মূল্য একটা বুলেট প্রুফ গাড়ি।
পূর্ব লন্ডনে বাঙ্গালী পাড়ায় ওয়াটার লিলি কমিউনিটি সেন্টার চালু করার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। কমিউনিটি সেন্টার চালু হওয়ার ঠিক পরেই ২০১০ সালে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সম্মেলন হয়। শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই কমিউনিটি সেন্টারেই যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। সম্ভবত লোকসান দেয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ওয়াটার লিলি কমিউনিটি সেন্টার।
সিলেট- ৩ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব। মনোনয়ন পাওয়ার আগে টিউলিপ সিদ্দিক এর নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি লোকবল সহ অনেকে শ্রম দিয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ডে টাকা খরচ হয়ে থাকলে, সেই টাকা তিনি অবশ্যই টিউলিপ সিদ্দিকের কাছ থেকে নেননি। তিনিও একটি কমিউনিটি সেন্টারের পরিচালক-মালিক। ইম্প্রেশন ইভেন্টস ভেনু নামের এই কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামীলীগ এবং সমমনা দলগুলো কম খরচে কিংবা বিনা খরচে সমাবেশ এবং সভা করার সুযোগ পায়।
পৃথিবীতে মাগনা কিছুই পাওয়া যায়না।
শেখ হাসিনাও মাগনা দেয়না।