বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্টের ব্যবসা বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস,ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের বার্ষিক সভায় মার্কিন হাস বলেছেন:আমাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সমস্ত ক্ষেত্রগুলির মধ্যে, আমি নিশ্চিত যে, আমরা অর্থনৈতিক ইস্যুতে আরও দ্রুত এবং দ্রুততার সাথে এগুতে পারি এই প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মনজুর কাদের । তার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল –
বিগত স্নায়ু যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর, সোভিয়েতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভারত সোভিয়েতকে ‘বাই বাই টা টা’ দিয়ে Unipolar World 🌎এর একক নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দোস্তি করে তার প্রতিবেশী সকল দেশের উপর খবরদারি চালাতে থাকে। হয়ে উঠে আঞ্চলিক মোড়ল হিসেবে।
বর্তমান স্নায়ু যুদ্ধের সময় চীন রাশিয়া এক হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ায় ভারত পড়েছে উভয় সংকটে যা নিয়ে গতকাল আনন্দবাজার পত্রিকা এবং NDTV প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পুরনো বন্ধু পাকিস্তানকে এফ-১৬ বিমান বহরের রক্ষণাবেক্ষণ এবং আধুনিকীকরণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ‘বোকা বানানোর চেষ্টা করবেন না। পাকিস্তানকে এফ-১৬ দিতে বাইডেনের যুক্তি খারিজ জয়শঙ্করের ‘ শিরোনামে আনন্দবাজার পত্রিকা গতকাল (সেপ্টেম্বর ২৬) রিপোর্ট প্রকাশ করে।
এই রিপোর্টের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবাদ করেছে যা আজকের (২৭/৯/২০২২)
আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে:
“পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আধুনিকীকরণে সহায়তার সিদ্ধান্ত বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের প্রতিবাদের জবাব দিল আমেরিকা। মঙ্গলবার জো বাইডেন সরকারের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘আমরা পাকিস্তান এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে এক মাত্রায় দেখি না। দুই দেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বের পৃথক মাত্রা রয়েছে।’’’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশস্থ রাষ্ট্রদূত যমুনা টেলিভিশনে পরিষ্কারভাবে বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশকে অন্য কোন দেশের চশমা দিয়ে দেখে না অর্থাৎ নতুন স্নায়ু যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ পুনরায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম
একটি হতে চলেছে।
আজ ( ২৭/৯/২০২২) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ফেসবুকে পোস্ট থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের বার্ষিক সভায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, হাস বলেছেন:
“আমাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সমস্ত ক্ষেত্রগুলির মধ্যে, আমি নিশ্চিত যে, আমরা অর্থনৈতিক ইস্যুতে আরও দ্রুত এবং দ্রুততার সাথে এগুতে পারি।
অনেক মার্কিন ব্যবসায়ীরা এই অঞ্চলে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায় এবং আমরা বাংলাদেশকে এমন একটি ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করতে প্রস্তুত যা বিদেশী বিনিয়োগের জন্য যতটা সম্ভব সুযোগ সুবিধা তৈরি করতে পারে এবং বিদেশিদের স্বাগত জানাতে পারে।
রাষ্ট্রদূত হাস ব্যবসায়িক নির্বাহী এবং সরকারী কর্মকর্তাদের বলেন যে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রসারিত করতে দুটি জিনিস অবশ্যই ঘটাতে হবে:
✅ আমেরিকান কোম্পানী এবং বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে আরও সচেতন হতে হবে।
✅ বাংলাদেশকে অবশ্যই আমেরিকান ব্যবসাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
উপরের পোস্ট থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চলেছে এবং তার জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনঃ পুনঃ ব্যক্ত করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিকট অর্থনৈতিক, জলবায়ু, মানবিক এবং নিরাপত্তা অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদার হয়ে উঠছে।
২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাকে আরও গভীর করার জন্য ঢাকা এবং ওয়াশিংটন ডিসি-তে একাধিক উচ্চ-পর্যায়ের বস্তুগত এবং কৌশলগত বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
দু’দেশ নিরাপত্তার উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা করেছে; মানবাধিকার, আইনের শাসন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা; এবং একটি মুক্ত এবং উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অনুষ্ঠানের জন্য কথা বলেছে।
স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার উপায় বের করছে দুটো দেশ।
ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে: সময় বদলে যাচ্ছে, রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।
এক জায়গায় গড়ির কাটা স্থির থাকার কোনো বিধান নেই। সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না।