বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র্যাব মানবাধিকার লঙ্ঘন এর অভিযোগের মুখে পরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পরে যায় গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। তখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটন সফরের সময় বিষয়টি আলোচিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সবসময় আমরা তুলে থাকি।’
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা কতটুকু যৌক্তিক জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেটি আমি জানি না। যারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তারা কিছু লোক বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিস্তারিত বক্তব্য দেননি যে, কী কী কারণে তারা নিষেধাজ্ঞাটি আরোপ করলো।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা মোটামুটি বলে দিয়েছেন যে, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে দিলেন— সেটি আমরা জানতে চাই। এটি হলে (কারণ জানালে) আমরা আরও ভালোভাবে বিষয়টি সম্পর্কে পদক্ষেপ নিতে পারতাম। কিন্তু তারা নির্দিষ্ট করে বলেননি যে— এ কারণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং এর সাবেক-বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।গত বছর ১০ ডিসেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধে অংশ নিয়ে র্যাব আইনের শাসন ও মানবাধিকার খর্ব করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ এতে হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে তাদের একজনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।