এবার রাজধানী ঢাকার গুলশানে ঘটেছে অনাকাঙ্খিত ঘটনা সেখানে দেখা গিয়েছে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের ডিসি আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের সামনে গু&লির ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু বিকাশ করা যায় এমন একটি দোকান থেকে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশান থানার সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আব্দুল আহাদ জানান, বিকাল ৪টায় গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটে হাবিবের বিকাশের দোকানে যান আরিফ নামের এক যুবক। আরিফ সেখানে গিয়ে কয়েকটি নম্বরে মোট ৭৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। আরিফ জানায়, হাবিব নির্দিষ্ট নম্বরে ৭৫ হাজার টাকা পাঠায়। টাকা পাঠানোর পর হাবিব আরিফের কাছে ৭৫ হাজার টাকা চাইলে সে টাকা না দেওয়ার জন্য নানা অজুহাত দেখাতে থাকে।
তিনি বলেন, আরিফ টাকা না দেওয়ায় হাবিব আশপাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে তাকে আটক করে। আটক অবস্থায় তিনি তার সহযোগীদের জানান। আরিফের ডাক পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তার চার সহযোগী টিপু, হুমায়ুন, আব্দুল ওয়াহেদ মিন্টু, শরীফ। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তারা আরিফকে নানাভাবে হাতছাড়া করার চেষ্টা করে। কিন্তু টাকা না দিয়ে আরিফকে ছাড়তে চাননি হাবিব। এতে ঘটনাস্থলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং মিন্টু আরিফকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফাঁকা গু&লি করে। এ সময় ভ্যানচালক আমিনুল গু&লি&বি&দ্ধ হন। এ ঘটনায় মিন্টুকে আমাদের আটক করা হয়েছে।
এদিকে গুলশান থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর ঢাকা পোস্টকে জানান, আরিফকে আটকের খবর পেয়ে তার দুই সহযোগী ডিএনসিসি মার্কেটে আসে। তাদের একজনের কাছে অ&স্ত্র ছিল। তার নাম অহিদুল। সে আরিফকে ওভারটেক করতে এসে তাকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য ১ থেকে ২ রাউন্ড গুলি করে। গু&লি চালানোর পর ব&ন্দু&ক&ধা&রীকে জড়িয়ে ধ&রেন স্থানীয়রা। দুই পক্ষের মধ্যে হা&তাহা&তি হয়। এক পর্যায়ে তারা (আরিফের দুই সহযোগী) গ্লোরিয়া জিন্সের দিকে দৌড়ে এসে গু&লি ছুড়তে থাকে।
গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে এবার নানা আলোচনা চলছে। এদিকে আরিফ ও আরিফের সহযোগীরা গুলশান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।