সম্প্রতি দেখা গিয়েছে দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ৭১ টিভির সাংবাদিকদের নিয়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে এবং সেই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আরিফুজ্জামান তুহিন। নিচে সেটি তুলে ধরা হল-
প্রথম আলোতে রিপোর্ট হইছে, সরকারি চাকরিতে বিজ্ঞানী পাচ্ছে না। বিজ্ঞাপন দেবার পরও বিজ্ঞানীরা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বিজ্ঞানীরা আগ্রহ না দেখানোরই কথা। বাংলাদেশ এমন একটা অভাগাদের দেশ যেখানে বিজ্ঞানীদের চেয়ে যারা প্রচুর মিথ্যাকথা বলে তাদের বক্তব্য শুনতে ৫ লাখা টাকা দিয়ে হেলিকপ্টারে নিয়ে যান। কিন্তু ৭১ টিভিতে মাসুদা ভাট্টি গংরা মিলে যা করেছেন তাতে বিজ্ঞানীদের যে ন্যুনতম সামাজিক সম্মান নেই তা প্রমাণ হয়ে গেছে।অথচ বিজ্ঞানীরা একটা দেশে পূজনীয় হওয়ার কথা।
৭১ টিভির অবশ্যই দায় আছে। ৭১ টিভিকে বিষয়টি পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। টকশোতে বিজ্ঞানীদের ডেকে এভাবে হেনস্থা করার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা টক শো না। এটা মূর্খদের দ্বারা একজন গবেষককে রিতিমত হেনস্থা করা,তাকে থ্রেট করা।পুরোপুরি সন্ত্রাসী কায়দায়।
যারা হেনস্থা করেছেন তারা পরিষ্কারভাবে খাস বাংলায় ক্ষমা চান,বলেন বিজ্ঞানী না হয়েও বিজ্ঞানের বিষয় না বুঝে যা বলেছি ভুল করেছি।মাপ করে দেন।
সরি বলেন।ক্ষমা চাওয়া কাউকে ছোট করে না।বরং ভুল থেকে শিক্ষা নিলে মানুষ সামনে আগানোর চান্স থাকে।ভুলকে আকড়ে থাকে ভুদাইরা।জনপরিসরে আপনাদের বলদামি ক্ষোভে পরিণত হবার আগে ক্ষমা চান।
এরপরের টকশোগুলোতে সামান্য পড়াশুনা করে যাবেন।এতে নিজের কাপড় খোলার চান্স সামান্য হলেও কমতে পাারে।
অপরাধের নারী পুরুষ হয় না।নারী করলে কম পুরুষ করলে বেশি এটা হয় না।যারা আবার সমতাভিত্তিক সমাজ চান তারা নারী ভিক্টিম কার্ড সামনে আনা আরও কুৎসিত।