বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চলের মানুষের দির্ঘদিনের প্রতাশা পুরন হয়েছে,তবে পদ্মা সেতুতে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারলেও বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় এবং এ কারনে বাইকারদের মনে নানা ক্ষোভ জন্ম নিয়েছিল এবং তারা বিভিন্ন সময় দাবি জানিয়েছে এই সেতুতে যেন বাইক চলাচল করতে দেওয়া হয় তবে সরকারের তরফ থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় নি
মোটরসাইকেলে চেপে দেশের সবচেয়ে বড় সেতু পার হওয়ার সুযোগ দেওয়ার চিন্তা সরকারের আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
বুধবার ( ৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালুর বিষয়ে প্রথমে আমাদের কোনো নিষেধ ছিল না। কিন্তু সেখানে একটা সমস্যা হয়ে গেছে। যে সমস্যার জন্য পদ্মা সেতুই চলাচলের অনুপযোগী হয় যায়, এমনভাবে ছুটে সবাই।
বিশৃঙ্খলার জেরে উদ্বোধনের পরদিনই (২৬ জুন) পদ্মাসেতুতে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। দুই মাসেরও বেশি সময় পার হলেও সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে সরকারের চিন্তা জানানো হয়নি। যদিও মাঝে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, সেতুতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও স্পিডগান বসানোর পর আবার বাইক চালু হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাস্তবতা সবারই মেনে নেওয়া উচিত। তাছাড়া কিছুদিন পর কালনা সেতুর উদ্বোধন হলে তখন নতুন বাস্তবতা দেখা যাবে। তখন এ পথে আরও দ্রুতবেগে গাড়ি চলবে। একটি অংশ কালনার কাছে গিয়ে থেমে যায়, ওই অংশতে আরও দ্রুতবেগে আসা-যাওয়া করবে। তখন বাস্তবতাসহ সবকিছু মিলিয়ে পরে আমরা চিন্তা করব।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন থেকে শুরু করে টানা বেশ কয়েকদিন সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচল নির্বিঘ্ন ছিল তবে দেখা যায় নানা দুর্ঘনার ফলে এই সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার এবং এখোনো সেটি চলমান রয়েছে।