কোরিয়ান সরকারের নিয়ম অনুযায়ি দেষ্টিটি কর্মরত সব কর্মীকে বিমার আওতাধীন হতে হয় তারই ধারাবাহিকতায় বীমার আওতায় আনা হয়েছিল বাংলাদেশী কর্মীদের তবে এখন কোরিয়া থেকে আসা শ্রমিকরা সেই বীমার টাকা ফেরত পাবেন। কোরিয়ায় ফেরত আসা তিন শতাধিক বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী তালিকাভুক্ত হয়েছেন। মাথাপিছু ৩০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা ফেরত পাওয়া যাবে।
ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
২০০৮ সাল থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম বা ইপিএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় শ্রমিকরা যাচ্ছেন। ইপিএস হলো বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর চুক্তি। এ পর্যন্ত ২৭,৫৬১ জন কর্মী কোরিয়ায় গিয়েছেন। শুধু গত বছরই কোরিয়ায় গেছেন ৫ হাজার ৬০০ কর্মী।
কোরিয়ান সরকারের প্রবিধানে সকল কর্মীকে বীমার আওতায় আনতে হবে এবং তারা কোরিয়া থেকে ফিরে আসার সময় বীমার অর্থ সঙ্গে আনতে হবে। কিন্তু কিছু শ্রমিক বীমার টাকা ফেরত আনতে ভুলে যায়। এরকম প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক বীমার টাকা পাবেন।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) আইজাউ কর্তবধ উচ্ছজ ইবহাবত রহ ইধহমশধফবংয়ের ফেসবুক পেজে এ পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় উল্লিখিত যে কেউ বীমা অর্থের জন্য আবেদন করতে পারেন।
এছাড়া তালিকাভুক্ত কেউ যদি জীবিত না থাকেন, বিবাহিত স্ত্রী বা সন্তানেরা, অবিবাহিত থাকলে বাবা-মা উপযুক্ত প্রমাণসহ আবেদন করতে পারেন।
উল্লেখ্য, কোরিয়ান সরকার তাদের শ্রম মন্ত্রণালয়ের এইচআরডি কোরিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার জন্য একটি সিস্টেম চালু করে যার নাম হল ইপিএস (এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম)। এতে করে শ্রমিকদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।