রাশিয়ার একটি মাদার ভেসেল এর উপর মার্কিন যুক্তরাষ্টের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারনে সেটি বাংলাদেশে প্রবেশ এর জন্য অনুমতি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সাথে বেশ মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছিল বাংলাদেশের তবে এই বিষয়টি ছাড়াও আরো নানা বিষয় এর মধ্যে বিদ্যমান এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক জীন কফিল । নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি বহনকারী রাশান জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে না দেয়ায় মস্কো এবার বাংলাদেশের রাস্ট্রদূতকে তলব করছে।। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এই সর্ববৃহৎ প্রকল্প ঝুলে গেছে। সাথে হাজার হাজার কোটি টাকার ইনভেস্ট।
এদিকে পশ্চিমকে অগ্রাহ্য করে রাশিয়ার সঙ্গে এ প্রকল্পে কাজ করলে বা মস্কোর সঙ্গে আরেককটু ঘনিষ্ঠ হওয়া মাত্র যুক্তরাষ্ট্র নর্থ আমেরিকায় বাংলাদেশের গার্মেন্টস পন্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত।
যারা গার্মেন্টসের সাথে কোনো না কোনো ভাবে জড়িত তারা জানেন ইউরোপে বিশেষত জার্মানি এবং ইউকেতে মন্দার কারণে এরইমধ্যে গার্মেন্টসে নতুন অর্ডার অনেক স্লো হয়ে গেছে ।
সাথে প্রডাকশন কস্ট বৃদ্ধি। সব মিলায়ে বেশিরভাগ প্রডাকশন হয় অর্ধেক নয়তো ওয়ার থার্ড চলছে। সাথে আগের অর্ডারের জন্য এরইমধ্যে বানানো বিপুল পন্যের শিপমেন্ট অনেক যায়গাতেই থেমে আছে। বায়ার এমুহূর্তে শিপমেন্ট স্টপ করে রাখতে বলছে। যার ফলে অনেক গার্মেন্টসে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঝুলে গেছে। সেই সাথে আটকে আছে ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারার সহ সব এক্সেসরিজের পাওনা পন্যের দামও।।
রাশিয়ার সঙ্গে বেশি পিরিতি দিলে গার্মেন্টসের বাকিটাও বসবে। আর ওয়েস্টের সাথে গেলে সাধের রুপপুরের ৯০ হাজার কোটি টাকার নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট একটা পরিত্যক্ত পোড়োবাড়িতে পরিনত হবে লম্বা সময়ের জন্য
আওয়ামী লীগ যে দেশরে কতবড় গাড্ডায় নিয়া ফেলছে আমরা এখনো এর পুরাপুরি উত্তাপ পাই নাই।