ঊনবিংশ শতাব্দীর এই যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছে মানুষ। তত্থ প্রযুক্তির এই ধারার মধ্যে মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে আরো বৈচিত্রময়। তবে এর অবশ্য উপকারিতাও রয়েছে অনেক।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাবি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রতি আকর্ষণ মানুষকে দাসে পরিণত করে! বললেন, আমার হাতে মোবাইল দেখেছেন কখনো? তবে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব সক্রিয়। আমি এর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী ঠিক করেছি।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি), নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে ‘পরীক্ষা পে আলোচনা’ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বলেছিলেন যে প্রতিটি বাড়িতে একটি ‘প্রযুক্তিমুক্ত অঞ্চল’ থাকা উচিত। তিনি পরামর্শ দেন, ‘প্রযুক্তিমুক্ত অঞ্চলে’ মোবাইল ফোন, কম্পিউটারসহ সব ডিভাইস বন্ধ করতে হবে।
ভারতীয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে মোদি অনলাইন মিডিয়া ব্যবহারে প্রথম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাবি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রতি আকর্ষণ মানুষকে দাসে পরিণত করে! তিনি সপ্তাহে একদিন বা দিনে কয়েক ঘণ্টা ডিজিটাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার অভ্যাস তৈরি করার পরামর্শ দেন।
এ প্রসঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি কি কখনো আমার হাতে মোবাইল ফোন দেখেছেন? তবে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব সক্রিয়। তবে এর জন্য আমি একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি ঠিক করে রেখেছি।
অভিভাবকদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য চাপ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তাদের ওপর প্রত্যাশার বোঝা চাপবেন না। নিয়মের বাইরে শিক্ষকদের পাঠদানের সময় মোবাইল ফোনের দিকে না তাকানোর পরামর্শও দেন তিনি।
অভিভাবকদের উদ্দেশে দেশপ্রধান বলেন, সম্ভব হলে তাদের কিছু টাকা দেবেন। ঘুরে আসতে বলুন। আর ফিরে আসার পর জানতে চাইবেন তারা বিদেশ থেকে কী শিখেছে। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগের সুযোগ বাড়াতে মাতৃভাষার পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্যের ভাষা শেখার পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে প্রতিনিয়ত এবং মানুষ প্রযুক্তির সাথে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছে এবং নিজেদের জীবন যাত্রার ম্যান এর উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। তবে এই প্রভাব কোমলমতি যারা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে খুব একটা ইতিবাচক হিসেবে আসছে না।