সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে এক মাস পর মুক্তি পেয়েছে কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিং কোম্পানির জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক। জাহাজটি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথে রয়েছে। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, সবাই অক্ষত।
তবে মুক্তিপণের টাকার পরিমাণ নিয়ে মুখ খুলছে না জাহাজের মালিকপক্ষ। কেউ বলছে ৫০ লাখ ডলার, আবার কেউ বলছে টাকার পরিমাণ আরও কম।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের কাছে মুক্তিপণের বিষয়ে কোন তথ্য নেই।
সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, মুক্তিপণের পরিমাণ ৫০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা।
জাহাজ মালিকপক্ষের মিডিয়া উপদেষ্টা মো. মিজানুল ইসলাম এই তথ্য অস্বীকার করে বলেছেন, “মুক্তিপণের বিষয়ে কোনো কিছু বলার নেই।”
তুলনামূলক কম সময়ে জিম্মি জাহাজ ও নাবিক উদ্ধারের বিষয়টিকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ, সাধারণত বড় জাহাজ ও বড় ধরনের মুক্তিপণের ক্ষেত্রে লম্বা সময় দেনদরবার করতে হয়।
এই ক্ষেত্রে মাত্র ৩৩ দিনে মুক্তি মেলেছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, একই কোম্পানির আরেক জাহাজ জাহান মণি ও এর ২৬ নাবিককে সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ১৪ বছর আগের সেই অভিজ্ঞতা এবং এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সর্বোচ্চ আন্তরিকতার কারণেই এত তাড়াতাড়ি জিম্মি সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে।
জাহাজ মালিকপক্ষের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলামও এই বক্তব্যের সাথে সহমত।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যার আগে ছোট আকারের উড়োজাহাজ থেকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর পাশে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ ফেলা হয়। এর প্রায় ৮ ঘণ্টা পর মুক্ত করা হয় জাহাজটি।
উল্লেখ্য, এই ঘটনা বাংলাদেশের নৌপরিবহন শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। তুলনামূলক কম সময়ে জিম্মি জাহাজ ও নাবিক উদ্ধার প্রশংসনীয়। তবে মুক্তিপণের প্রশ্ন এখনও অনেকাংশে রহস্যে ঘেরা। আগামীতে এই ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে।