বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে এবং খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে ১০টি সবল ব্যাংকের সাথে একীভূত করার পরিকল্পনা করেছিল। এই নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংক একীভূতকরণ স্বেচ্ছায় হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু কিছু ব্যাংক, বিশেষ করে বেসিক ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক, তাদের গ্রাহকদের ব্যাপকভাবে আমানত তোলার হিড়িকের সম্মুখীন হয়। এর ফলে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট দেখা দেয়। এছাড়াও, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জোরপূর্বক একীভূতকরণের বিরুদ্ধে তাদের প্রভাব বিস্তার করে। এই সকল কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সিদ্ধান্ত স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
তবে, ইতিমধ্যে ৫টি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ব্যাংকগুলো হল:
*এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক
*বেসিক ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক
*ব্যাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) ও সোনালী ব্যাংক
*রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ও কৃষি ব্যাংক
*ন্যাশনাল ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য জোরপূর্বক একীভূতকরণের পরিবর্তে, ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা উচিত। তারা মনে করেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হলে ব্যাংকগুলো ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।