বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। তবে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর নানা কারণে দূরত্ব তৈরি হয়। আর ২০১৩ সালে ঢাকা সফরে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা না হওয়ার বিষয়টি সেই সম্পর্ককে আরও শীতল করেছিল।
গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির অনেক নেতা পণ্য বর্জনসহ ভারতবিরোধী অবস্থানে সোচ্চার হন। কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবিরের মতে, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে কাজের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেনি।
তবে দলের সিনিয়র নেতা ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলছেন, ভারত কারও সঙ্গে দূরত্ব বাড়ালে তার দায় বিএনপির নয়। এমনকি সম্পর্ক উন্নয়ন করতে না পারায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যর্থতার অভিযোগও মানতে রাজি হননি তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভারতের উচিত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা, কোনো দলের পক্ষে নয়। সুসম্পর্কের বিরুদ্ধে এদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের আওয়াজ কেন উঠছে তা প্রতিবেশী দেশটির ভাবা উচিত বলেও মনে করেন বিএনপির এই নেতা।