সম্প্রতি প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এরপর থেকেই তুমুল আলোচিত পুলিশের এই সাবেক আইজিপি।
জাতীয় পত্রিকা ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাতে তার বিভিন্ন আর্থিক সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজিরের বিশাল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে একটি অভিজাত ও দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ছয়টি কোম্পানির সন্ধান পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, বেনজীর আহমেদ ঢাকার অভিজাত এলাকায় দামি ফ্ল্যাট ও বাড়ির মালিক এবং ঢাকার অদূরে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচ তারকা হোটেল লা মেরিডিয়ানে দুই মেয়ের নামে দুই লাখ শেয়ার রয়েছে। পূর্বাচলে ৪০ কাঠা জুড়ে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় ২২ কোটি টাকার মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি রয়েছে।
তবে দীর্ঘ ৩৪ বছর সাত মাসের চাকরি জীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা হওয়ার কথা।
এসব বিষয়ে অবশেষে মুখ খুললেন বেনজীর আহমেদ। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ১১টা ১১ মিনিটে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, দু একজন অনেক ক্ষিপ্ত, খুব ই উত্তেজিত হয়ে এক্ষুনি সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, প্রবন্ধ লিখে ফেলছেন ।দয়া করে সামান্য ধৈর্য্য ধরুন । ঘোষণাই তো আছে ” কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়।”
এদিকে বেনজীর আহমেদ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এসব অবৈধ সম্পদের তদন্ত করে মামলা করা উচিত।