সোমবার (৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আসা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে বিশ্বাসযোগ্য হলে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, দুদক জ্বীন-পরী নয়,আসলো আর ফুঁ দিয়ে দিলাম: তাই তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে সত্যতা যাচাই করতে হবে।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বেনজীর আহমেদের বিপুল অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়ার দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানি, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি, ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি, দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের দুই লাখ শেয়ার, পূর্বাচলে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি এবং একই এলাকায় ১০ বিঘা জমি।
অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।
খুরশিদ আলম খান আরও বলেন, এখানে কোনো ব্যক্তি মুখ্য বিষয় না, বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। দুদক তথ্য যাচাই করে প্রমাণিত হলে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেবে।