স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে বেরিয়ে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে নিহত মোহাম্মদ আলী (৭০) । সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে জানাজা শেষে আজিমপুরের পানিরবাড়ি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মোহাম্মদ আলী মারা যান।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় মোহাম্মদ আলী বাড়ির পাশের চৌরঙ্গী বাজারে স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে যান। ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হামিদ-হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের গেটের সামনে ফলাফল ঘোষণার পর দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার মুখে পড়েন সিঙ্গুল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালায়। মোহাম্মদ আলীর শরীরে গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তার আগেই মৃত্যু হয়েছে।
নিহত মোহাম্মদ আলীর ভাতিজা ও বিজয়ী ইউপি সদস্য জোবায়দুর রহমান জানান, ভোট দেওয়ার পর তার কাকাা বাড়িতে ছিলেন। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর কাকির ওষুধের কেনার জন্য বেরিয়েছিলেন। ভোটের ফলাফল নিয়ে ওই সময় আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ কেউ একজন ফোনে জানান ভোটকেন্দ্রে গন্ডগোল লেগেছে এবং আমার চাচার গায়ে গুলি লেগেছে। আজ দুপুরে জানাজা শেষে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল দিনাজপুরের বীরোল উপজেলায় আজিমপুরসহ তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আজিমপুরে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও ফলাফল ঘোষণার শেষ মুহূর্তে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থক ও উৎসুক জনতা ভোটের ফলাফল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নানা গুজব ছড়াতে থাকে। একপর্যায়ে জনগন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এরপর পুলিশ গুলি চালায়। বৃদ্ধ মোহাম্মদ আলী ছাড়াও ৪/৫ জন গুলিবিদ্ধ হন।