সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ও বরাদ্দের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
মঙ্গলবার (৮ মে) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
ব্যারিস্টার সুমনের নাম প্রকাশ না করে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, আমাদের হাউজের একজন সংসদ সদস্য। নামটা বলতে চাই না, তিনি নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ফেসবুকে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আমরা সবাই ভুক্তভোগী।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, তিনি (ব্যারিস্টার সুমন) বলেছেন- আপনারা জানেন এমপিরা কত টাকা বেতন পান? তারা তো বলে না, গোপন করে। তিনি বলেছেন- ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা বেতন (মাসিক) পেয়েছেন। আমরা কত টাকা বেতন পাই তা লুকানোর কিছু নেই, ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেছেন- তিন মাসের মধ্যে ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। সেটা কীভাবে পেলেন- তিন কোটি টাকা গমের জন্য। আর বাকি ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন রাস্তার জন্য।
এ সময় স্পিকারকে উদ্দেশ চুন্নু বলেন, এই ২৮ কোটি টাকা কি আমি পেয়েছি? আপনি (স্পিকার) পেয়েছেন? প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন? ইতিমধ্যে ফেসবুকে দেখে আমাকে অনেকেই বলছেন, ‘২৮ কোটি টাকা পেয়েছেন, এই টাকা কই?’ তিনি (সুমন) বলেছেন, ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন, কিন্তু আমরা তো পাইনি।
স্থানীয় সরকার সংসদ সদস্যদের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিষয়ে চুন্নু বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ জরিপ করে টেন্ডার করে, তারপর তা বাস্তবায়ন করে। কিন্তু সংসদ সদস্য বলছেন, আমরা ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। শুধু তাই না, তিনি আরও বলেছেন- এমপি হলে যদি এত লাভ হয়, তাহলে আরও আগে এমপি হতাম।
শুধুমাত্র ‘সস্তা জনপ্রিয়তার’ জন্য এমন আচরণ উল্লেখ করে নতুন এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য। স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি এই সংসদের অভিভাবক। আমাদের কোন সদস্য যদি এমন কিছু বলেন যা প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ ৩৪৯ জন এমপি (সায়েদুল হক সুমন ছাড়া) সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে… তার সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করবার জন্য যদি এ ধরনের কথায় ভুল বার্তা যায়, বিষয়টা আপনি দেখতে পারেন।