এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। এই সময়ে, তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ছুটির গণনা।
মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদুল ফিতরে সরকারি কর্মচারীরা টানা পাঁচ-ছয় দিন ছুটি পেতে পারেন।
তারা জানান, ঈদুল ফিতরের দিনটি সাধারণ ছুটি এবং ঈদের আগের ও পরের দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি।
প্রতি বছর ঈদের আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছুটির তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রিসভায় তালিকা অনুমোদনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ বছর এখনো তালিকা পাঠানো না হলেও প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
তারা আরও জানান, এ বছর ১২ মার্চ থেকে রোজা শুরু হয়েছে। রমজান মাস ৩০ দিন হলে ঈদুল ফিতর হবে ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)। সে হিসেবে ১০-১১-১২ এপ্রিল (বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি পেতে পারেন সরকারি চাকরিজীবীরা। পরদিন ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। এর পরের দিন ১৪ এপ্রিল (রোববার) বাংলা নববর্ষের (পহেলা বৈশাখ) ছুটি।
তবে রমজান মাস ২৯ দিন হলে ঈদুল ফিতর হবে ১০ এপ্রিল (বুধবার)। সেক্ষেত্রে আগামী ৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হতে পারে। ফলে টানা ছয় দিন ছুটি পেতে পারেন সরকারি কর্মচারীরা।
শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদুল ফিতর নির্ধারণ করা হয়। এ কাজের জন্য বাংলাদেশের একটি জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি রয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, ‘জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আমাদের এখনো কোনো বৈঠক হয়নি। আমরা সাধারণত ২৯ রোজায় বৈঠকে বসি এবং তারপর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাই।’