ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির প্রয়াত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তৈমুর রহমানের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে কেঁদেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় সদর উপজেলার রুহিয়া সালেহিয়া দারুসুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানে প্রয়াত বিএনপি জেলা সভাপতির কবর জিয়ারত করেন তিনি।
ফখরুল সম্প্রতি প্রয়াত নেতাকে স্মরণ করে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান ছিলেন জনগণের নেতা। তিনি সর্বদা অসহায় নিপীড়িত মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন। এ লড়াই করতে গিয়ে তিনি মারা গেলেন। যখন তিনি অসুস্থ হলেন-সংবাদটি আমি কারাগারে বন্দী অবস্থায় জানতে পারি। তিনি চিকিৎসা নিতে গেলেন ভারতে। এ সময় আমার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। কিন্তু ফিরে এলেন, তবে লাশ হয়ে। এ কথা বলতেই তিনি অঝোরে কেঁদে ফেলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলীয় সভানেত্রীর কবর জিয়ারত শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারাদেশের মানুষ আজ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। মানবাধিকার বলে কিছু নেই, গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠা করতে লড়াই-সংগ্রাম করছি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবশ্যই এ সংগ্রামে দেশের মানুষ জয়ী হবেন।
উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রশাসন আপনাদের ওপর নির্যাতন চালায়। নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, এখনো হচ্ছেন। বিভিন্ন মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হয়।তারপরও আপনারা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দমন-পীড়নকারী ফ্যাসিস্ট শাসকদের অত্যাচারে মানুষ বিরক্ত। এসব অত্যাচারে মানুষ হয়তো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে না, কিন্তু একদিন দেখবে এই মানুষগুলো অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। পৃথিবীতে কোনো স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদী সরকার টিকে থাকতে পারেনি। হিটলারের মতো ফ্যাসিবাদী ধ্বংস হয়ে গেছে। সে পুরোনো যুগের ফেরাউন, নমরুদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মানুষের পক্ষে না দাঁড়ালে, তাদের কল্যাণে কাজ না করলে, কেউ কোনো দিন ক্ষমা পায় না। এই স্বৈরাচারী সরকারও কোনো দিন ক্ষমা পাবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ কায়েস প্রমুখ।