রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার একটি আবাসিক হোটেল থেকে প্রয়াত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান সৃষ্টির (৩৪) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল সংলগ্ন রংধনু আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, সামিয়া গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। জানা যায়, প্রয়াত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান তার স্বামী তানিমের সঙ্গে উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের দুই নম্বর রোডে থাকতেন। পারিবারিক বিরোধের জেরে রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল সংলগ্ন ‘রেইনবো’ আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করেন তিনি। পরে হোটেল কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন বলেন, আমাদের প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে সামিয়া রহমান আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক কলহের জেরে গতকাল তিনি আবাসিক হোটেলে যান। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। নিহতের মরদেহ এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একটি অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না করলে অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।
এদিকে সামিয়া রহমানের অবস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী সামিয়া রহমানের মাথা ও কপাল স্বাভাবিক অবস্থায় দেখা গেছে। সামিয়া রহমানের লাশের কপালে পুরনো দাগ রয়েছে। মুখ স্বাভাবিক কিন্তু চোখ অর্ধেক খোলা। দুই ঠোঁটের মাঝখানে জিভ আধা কামড়ানো। ঘাড়ে একটি অর্ধচন্দ্রাকার কালো দাগ দেখা যায়। এই কালো দাগ ওড়না দিয়ে ফাঁস নেওয়ার ফলে হয়। এছাড়া কাঁধও স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। উভয় হাত একটি লম্বালম্বি অবস্থানে ছিল এবং আঙ্গুলগুলি একটি অর্ধ মুষ্টি অবস্থানে ছিল.
এর আগে রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল সংলগ্ন ‘রংধনু’ আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে সামিয়া রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।