ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ব্যাপক সংঘর্ষ ঠেকাতে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
স্থানীয় সময় বুধবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের নেতাদের প্রথম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল প্রতিশোধ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে, তবে তারা কীভাবে তা নেবে তা জানায়নি। তবে বৈঠকে ইইউ নেতারা ইরানের হামলার নিন্দা করেছেন। একই সঙ্গে তারা ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং লেবাননসহ সব পক্ষকে উত্তেজনা এড়াতে আহ্বান জানান।
বৈঠকে শীর্ষ সম্মেলনের চেয়ারম্যান চার্লস মিশেল বলেছেন, “আমরা মনে করি ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমাদের সবকিছু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
অন্যদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, ইসরাইল “নিজের থেকে বড় ধরনের হামলার জবাব না দেওয়া” গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বুধবার বলেছেন যে ইসরায়েলের সীমান্ত জুড়ে সংঘাত বৃদ্ধির আশঙ্কার মধ্যে ইসরাইল কীভাবে আত্মরক্ষা করবে তা সিদ্ধান্ত নেবে। ইরানের হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-৭ দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়ে উদ্বেগের মধ্যে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা কীভাবে নিজেদের রক্ষা করব তা নির্ধারণ করব। নিজেদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, গত শনিবার ইরানের পাল্টা হামলা বন্ধ না হওয়ায় লেবাননভিত্তিক সামরিক সংগঠন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বেইট হিলেল সামরিক ঘাঁটিতে মোতায়েন করা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর ড্রোন হামলা চালায়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, দুটি ড্রোন দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।