অভিভাবকদের উদ্দেশে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, আপনার মেয়েরা শেষরাতে কোথায় যায়, কী করছে তার খোঁজখবর রাখা উচিত। আজ যে নারীরা বারে গিয়ে মদ খেয়ে তারা মাতাল হয়ে মারামারি করেছে, পোশাক খুলেছে। এটা অন্য কারো সাথে ঘটতে পারে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
গুলশান-২ ক্যাফে সেলিব্রেটি বারের সামনে মদ খেয়ে মারামারির ঘটনায় তিন তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন- শারমিন আক্তার মিম (২৪), ফাহিমা ইসলাম তুরিন (২৬) ও নুসরাত আফরিন।
পুলিশ বলছে, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় যারা জড়িত তারা সবাই মাতাল ছিল। তারা এত বেশি মাতাল হয়েছিল যে তারা বেসামাল হয়ে গিয়েছিল। মারধর করা নারীরাও মাতাল ছিলেন।
১৪ এপ্রিল রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, সাদা পোশাক পরা বেশ কয়েকজন নারী এবং লাল শাড়ি পরা নারীরা মারামারি করছেন। এ সময় তারা চিৎকার করছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন।
পরে মারধরের শিকার ওই তরুণী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তিন তরুণীকে আটক করে।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ জানান, ওই রাতে ওই নারীরা মদ পান করতে যান। তাদের কারোরই লাইসেন্স ছিল না। তারপরও বারের লোকজন তাদের মদ দিয়েছে। বার মালিকের তাদের লাইসেন্স আছে কিনা তা পরীক্ষা করা উচিত ছিল। আবার বাড়তি লাভের আশায় এত মদ পান করান যে, সবাই মাতাল হলেন বেসামাল হয়ে গেলেন। তাদের উচিত ছিল নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা।
তিনি বলেন, বার থেকে বের হওয়ার পর প্রকাশ্যে মারামারি করেন নারীরা। গুলশান সোসাইটির লোকজন দেখেছে, ভিডিও করেছে এবং ভাইরাল করেছে। এই ভিডিওটি নিয়ে আমাদের সমাজের সাধারণ মানুষ কী ভাববে? শহুরে সভ্যতায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে মারামারি, মাতাল, অসভ্য আচরণ বাবা-মা মেনে নেবে না।
অভিভাবকদের অনুরোধ করে তিনি বলেন, আপনার মেয়েরা শেষরাতে কোথায় যায়, কী করছে তার খোঁজখবর রাখা উচিত। আজ যে নারীরা বারে গিয়ে মদ খেয়ে তারা মাতাল হয়ে মারামারি করেছে, পোশাক খুলেছে। এটা অন্য কারো সাথে ঘটতে পারে।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, যে মেয়েটিকে মারধর করা হয়েছে সেও মাতাল ছিল। সে অভিযোগ করেছিল। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাকি সবাইকে গ্রেফতার করা হয়।
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন হারুন। যেসব বার লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও মদ বিক্রি করে এবং ওইসব নারীদের নিয়ন্ত্রণ করেনি তাদের বিরুদ্ধেও আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।