তীব্র গরমে যেখানে হাঁসফাঁস অবস্থা, সেখানে মাগুরার এই হোটেলে বিখ্যাত রেস্তোরাঁর মতো কোনো কুলিং সিস্টেম নেই । তাই তীব্র চাপের মধ্যেও ভোক্তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এক অভিনব পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন রবিউল ইসলাম।
মাগুরা শহরের ইসলামপুর পাড়ায় ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের পেছনে অবস্থিত এই হোটেলে দুপুরের দিকে বৃষ্টিতে দোকানপাট ভেসে যায়। টিনের চালে টুপটাপ বৃষ্টির শব্দে ভেতরে খাবার খাচ্ছেন ভোজনরসিকরা।
বাইরে যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থাকে সেখানে কুলিং সিস্টেমের কারণে রবিউলের হোটেলের ভেতরের তাপমাত্র থাকে ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি। কৃত্রিম বৃষ্টির মাধ্যমে টিনের চালকে ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রবিউল ৫৭ বছর ধরে এই খাবার হোটেল ব্যবসায় যুক্তত। তার হোটেলে এমনিতেই কাস্টমার বেশি হয়। কারণ, তার হোটেলে খাসি, মুরগি, মাছ, সবজি সবই পাওয়া যায়। বিশেষ করে রেজিস্ট্রি অফিসের পেছনে হওয়ায় সপ্তাহের অফিস ডেতে বেশি সমাগম হয়।
রবিউল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা বাবা-দাদার আমল থেকে এই হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। অনেক বছর আগে চোখ দুটো হারিয়েছি। তাই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারিনি। মানুষের ভালোবাসা ও দোয়ায় ব্যবসা ভালো চলছিল
। আমি সম্প্রতি লক্ষ্য করেছি যে গরমের কারণে লোকেরা আমার হোটেলে আসতে চায় না। টিনের চালার হোটেল। তাই গরম বেশি। সে কারণে কাস্টমারের সংখ্যা অনেক কম ছিল। এ সময় রুমের তাপ কমানোর বুদ্ধি বের করি। মূলত ইন্টারনেট থেকে দেখে আমি আমার ঘরের চালার ওপর ওয়াটার কুলিং সিস্টেম লাগাই। এটা করতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
এই কৃত্রিম বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরমের বদলে ঘরের তাপমাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমন অভিনব আয়োজন দেখে অনেকেই এই হোটেলে খেতে আসেন। ভোক্তাদের সেবা দিতে পেরে খুশি রবিউল।