সম্প্রতি দেশের প্রতিটি সেক্টর জুড়ে যেন দুর্নীতির আখড়া।সরকারি অফিস গুলোতে সেবা পাওয়াটা যেন ভাগ্যের ব্যাপার।কারণ টাকা ছাড়া কোনো কাজ করতে গেলে ব্যাপক ভুগান্তিতে পড়তে হয়।যার কারণে এখন অনেকেই বিশ্বাস করেন যে টাকা ছাড়া কোনো কাজ সম্ভব নয়।বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ গোলাম মাওলা রনি হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসার কৃতিত্ব নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনাব ওবায়দুল কাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে মন্তব্য করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বন্ধক রেখেছেন। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আপনি (ওবায়দুল কাদের) পাকিস্তানের কথা শুনে কয়েকবার গোসল করেন, আর পাকিস্তানের একটু প্রশংসা করেছে। এটা নিয়ে জোরে কথা বলছেন। আর তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে নাকি পীরিত? বিএনপি যা বলছে তা সত্যের পক্ষে স্পষ্ট।আর ওরা ( আওয়ামী লীগ) বলে তলে তলে। তারা সবার সঙ্গে তলে তলে পিরিত রাখে। কারণ ওরা অবৈধ। তারা সত্য বলতে পারে না। তাদের কোন আদর্শ নেই, তাদের আদর্শ সন্ত্রাস, ব্যাংক ডাকাতি। যাদের আদর্শ নেই তারা কিছু করতে পারে।
রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক পথসভায় এসব কথা বলেন রিজভী। ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছাদরেজ জামান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও সহযোগী স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ সব রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে গণতন্ত্রকে চিরস্থায়ীভাবে বাকশালে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জননী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।
কারাগারে থাকা প্রতিটি নেতার মুক্তির দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, কোনো স্বৈরাচারী বা ফ্যাসিস্ট কারাগারে টিকে থাকতে পারে না।
এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি রফিক হাওলাদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।